ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঈশ্বরদীতে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ পল্লী বিদ্যুত সমিতি দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে হয়েছে। মুলাডুলি গোয়াল বাথানের মেসার্স সুমি লুজফিড মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ বেলায়েত সরকার বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি কার্যালয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন বেলায়েত সরকার। তিনি বলেন, আমি মেসার্স সুমি লুজফিড মিলে পল্লী বিদ্যুত অফিসের মাধ্যমে বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে মাছের খাদ্য, মুরগির খাদ্য ও মশার কয়েলের পাউডার তৈরি করা শুরু করি। মিলে উৎপাদন চলাকালীন পল্লী বিদ্যুত অফিস থেকে প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা করে বিদ্যুত বিল দাখিল করা হলে আমি তা নিয়মমাফিক পরিশোধ করতে থাকি। এভাবে প্রায় ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একই হারে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করি। কিন্তু অত্র অফিসের ডিজিএম মুহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন খান, লাইনম্যান হানিফ ও পিওসি দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার আমার কাছে অবৈধ প্রস্তাব দেন আপনার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুত বিল কম করে দাখিল করা হবে। আপনার ইচ্ছামতো বিদ্যুত ব্যবহার করতে পারবেন। কোন সমস্যা হবে না। আমি একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে তাদের অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ডিজিএম মুহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন খান ও লাইনম্যান হানিফ আমাকে বা আমার প্রতিষ্ঠানের কাউকে কোন পত্র বা নোটিস না দিয়ে বা না জানিয়ে আমার অনুপস্থিতিতে মিলের বিদ্যুত লাইনের মিটার ও সিলগালা খুলে মিটার ও সিডির ক্যাবল খুলে উলট-পালট করে লাগিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে আমি অফিসে আপত্তি জানাই এবং তাদের কাছে প্রশ্ন করি, আমাকে না জানিয়ে কেন মিটার খুলে সিডি ও ক্যাবল উলট-পালট করে লাগানো হয়েছে? তারা আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে নানা কৌশলে ভয়ভীতি দেখান। এর পরও আমি মিটার ঠিক করার জন্য বারবার তাগাদা দিতে থাকি। তারা কোন প্রকার গুরুত্ব দেন না। উল্টো আমার মিলের মিটারের অনুকূলে এক লাখ ৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৪৫ হাজার পর্যন্ত বিল দাখিল করতে থাকেন। এ অবস্থায় আমি পল্লী বিদ্যুত সমিতি চাটমোহর অফিসে অভিযোগ দাখিল করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত অফিস থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে মিলের মিটার ও সিডির বৈদ্যুতিক তার পরিবর্তন কওে দেয়া হয়। এরপর থেকে মিটারে স্বাভাবিকভাবে বিল রেকর্ড হতে থাকে। এ অবস্থায় আমি দাশুড়িয়া অফিসের পক্ষ থেকে পূর্বের দাখিলকৃত চারটি বিল সংশোধনের আবেদন করি। কিন্ত অদ্যাবধি তারা বিল চারটি সংশোধন না করে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শুধু তাই নয়, বিদ্যুতের মিটারের তার উলট-পালট করার পর থেকেই পিওসি অদ্যাবধি অবৈধভাবে সচল ক্যাপাসিটরের অনুকূলে জরিমানা করে যাচ্ছেন। এ কারেণ গত প্রায় ১০ মাস থেকে আমার মিলে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে মিলের ১৮ জন কর্মচারীকে প্রতি মাসে কাজ না করিয়েও এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করে বেতন-ভাতা গচ্ছা দিতে হচ্ছে। একই কারণে আমার ব্যবসা ধ্বংস হতে বসেছে। আমিও আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে পড়েছি। সম্মেলনে তিনি জরুরীভিত্তিতে মিলে বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করে উৎপাদনের স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করে দিতে জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
×