ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিজিএমইএ ভবন সরাতে সময়ের আবেদনের শুনানি ৫ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিজিএমইএ ভবন সরাতে সময়ের আবেদনের শুনানি ৫ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয় সরাতে এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য ৫ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করার সরকারী সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে (রাহমান নাসির উদ্দিন) বিএসএস সম্মান ও এমএসএস পরীক্ষা কমিটি-২০১৫ থেকে অপসারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার আপীল বিভাগের চেম্বার জজ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয় সরাতে এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৫ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত শুনানির জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। আগামী ৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপীল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএর আগে তিন বছর সময় চাইলেও আপীল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলেছিল। সোমবার সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত ২৩ অগাস্ট এই আবেদন জমা দেয় বিজিএমইএ। ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতে বর্তমানে অবকাশ চলায় চেম্বার আদালত ছুটির পরে শুনানির তারিখ ঠিক করে দিয়েছে। এর ফলে ভবন ভাঙতে আপীল বিভাগের নির্ধারণ করে দেয়া সময়ের পরও আরও প্রায় এক মাস সময় পেল বিজিএমইএ। জলাধার আইন ভেঙ্গে নির্মিত ১৬ তলা ওই ভবন হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করার পর আপীল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলে তাও খারিজ হয়ে যায়। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আদালতের বেঁধে দেয়া ছয় মাস সময়ের মধ্যে কার্যালয় সরিয়ে নেয়া সম্ভব না হওয়ায় আরও এক বছর সময় চেয়ে তারা আবেদন করেছেন। সৌন্দর্যম-িত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যান্সার’ বলা হয়েছিল হাইকোর্টের রায়ে। ‘নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জায়গায় বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষকের অপসারণেরবিরুদ্ধে রুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে (রাহমান নাসির উদ্দিন) বিএসএস সম্মান ও এমএসএস পরীক্ষা কমিটি ২০১৫ থেকে অপসারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এমবিবিএস পরীক্ষায় নম্বর কাটা নিয়ে আদেশ আজ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করার সরকারী সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। রিট আবেদনে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০ এর চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য কৌশল চ্যাপ্টারের এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোন প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে।’ সুতরাং সরকার আগের বছর পাস করাদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শিক্ষানীতির পরিপন্থী।
×