ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ঈদগাহের জামাতে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনার পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২৪ জুন ২০১৭

জাতীয় ঈদগাহের জামাতে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু না আনার পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদের জামাতে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোন কিছু সঙ্গে না আনার পরামর্শ দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ পরামর্শ দেন। র‌্যাব ডিজি বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে না হলে আমরা মুসল্লিদের পানির বোতল আনতেও নিরুৎসাহিত করব। তবে পানি আনাটা নিষেধ করা হচ্ছে না। যথাসম্ভব ফ্রি আসার চেষ্টা করবেন। এতে করে আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বেনজীর আহমেদ বলেন, যারা এখানে নামাজ পড়তে আসবেন দয়া করে তারা আগে আগে আসবেন। শুধু জাতীয় ঈদগাহে নয়। প্রত্যেক জায়গায় সময় নিয়ে আসবেন। তাতে করে আমরা নিরাপত্তার যে বিষয়টি আছে সেটি সুসম্পন্ন করতে পারব। তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য অনেক ডিভাইস মোতায়েন করব। যাতে করে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। যেখানে যেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সেখানে গাড়ি পার্ক করতে হবে। ঈদগাহের আশপাশে গাড়ি নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না। ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তার বিষয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদে প্রতি বছরের মতো নগরবাসীর নিরাপত্তায় আমরা কাজ করব। যাতে তারা শঙ্কামুক্ত ঈদ করতে পারেন। এজন্য আমরা আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। তারা আমাদের তথ্য দেবেন। সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে আমরা সিকিউরিটি হালনাগাদ করব এবং সেভাবে নতুন করে এক্সিকিউট করব। র‌্যাবের ডিজি বলেন, এবার রমজানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে বড় কোন সমস্যা হয়নি। ইনশাল্লাহ আগামী ২-৩ রোজাতেও আশানুরূপ নিরাপত্তা বলবৎ থাকবে। তিনি দাবি করেন, ঈদ যাত্রা এবার সন্তোষজনক। অন্যবারের তুলনায় রাস্তায় ভোগান্তি কম লক্ষ্য করা গেছে। জনভোগান্তি কমাতে র‌্যাব-পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এখন চাপ দেখা যাচ্ছে চন্দ্রা ও মাওয়া ঘাটে। হয়ত বিকেলে সদরঘাটেও চাপ থাকবে। র‌্যাবের ডিজি বলেন, আমরা র‌্যাবের কমান্ডিং ও অপারেশন উইং নিয়ে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন করেছি। কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। মুুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতিসহ অনেক মন্ত্রী ও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আসবেন। সব মুসল্লির নিরাপত্তার জন্য জায়নামাজ ব্যতীত অন্য কিছু আনাকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ঈদগাহের নিকটবর্তী গাড়ি পার্কিং করতে দেয়া হবে না। যারা নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহে আসবেন তারা যেন দূরে গাড়ি পার্কিং করে আসেন। শোলাকিয়ায় ঈদগাহের কাছে গত বছরের হামলার পর আপনাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন থাকবে এবং তা কি সন্তোষজনক কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের ডিজি বলেন, আমরা ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্য বড় ঈদগাহে র‌্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করব। র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতিও রয়েছে। এবার শোলাকিয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। গত বছরের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে মারা গেছে ৮ জঙ্গী। গ্রেফতার হয়েছে ১৬০ জঙ্গী। এছাড়া র‌্যাবের বিভিন্ন অভিযানে জঙ্গী অর্থায়নের নগদ ৬৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। অপারেশন, দাওয়াতি, মিডিয়া, ওলামা শাখাসহ প্রায় ক্ষেত্রেই জঙ্গী নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়েছে। তবে এজন্য আত্মতুষ্টির কোন সুযোগ নেই। র‌্যাব ডিজি বলেন, জঙ্গীবাদ দেশীয় নয়। বৈশ্বিক সমস্যা। পরিকল্পনা অনুযায়ী জঙ্গীবাদ মূলোৎপাটনে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
×