ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে ॥ খালেদা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৪ জুন ২০১৭

নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে ॥ খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কি না, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে কি না। শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের নভরাত্রি হলে বিএনপি নেতাদের সম্মানে নিজের আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের আবদারে কান না দিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন। এ সরকার যা কিছু আবদার করবে তা না শুনে জনগণের মতামত নেবেন। মনে রাখবেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে সে নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। শেখ হাসিনার অধীনে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। আগামী অর্থবছরের জন্য দেয়া প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, এ বাজেটে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। এ সরকারের জনগণের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সেজন্য জনগণের কষ্ট তাদের চোখে পড়ে না। তাই জনবিরোধী বাজেট দিয়েছে। দেশে এখন প্রয়োজন সত্যিকারার্থেই একটি জনগণের সরকার, যারা জনকল্যাণে কাজ করবে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। খালেদা জিয়া বলেন, আজ দেশের কী অবস্থা? মানুষের কত সমস্যা, এ সমস্যার পরও বাজেটে যে কর বসানো হয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এজন্যই জনগণের সমস্যা তাদের চোখে পড়ে না। যেভাবে কর বসানো হয়েছে তাতে জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বাড়বে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এ সরকার গণবিরোধী। তাই তাদের বিতাড়িত করা বিএনপির একার দায়িত্ব নয়। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে হটাতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে বিএনপি ভিশন দিয়েছে। ভিশন বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সমস্যা থাকবে না। দ্রুত উন্নতি করতে পারবে। দুর্র্নীতিও দূর হবে। খালেদা জিয়া বলেন, এখন দেশে দুর্নীতি চেপে বসেছে। দেশের সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে সরকারের লোকেরা জড়িত। সেজন্য এদের ধরা হয় না। অথচ বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ কিছু না করলেও তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নেয়া হয়। দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়ে জুলুম-নির্যাতন করা হয়। ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেনÑ বিএনপি মহাসবিচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক এমএ মান্নান, আব্দুল মান্নান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, আমানউল্লাহ আমান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ। প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে খালেদা জিয়ার টুইট প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া শনিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে টুইট করেছেন। টুইটবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, বছর বছর ধরে জাতির সম্পদ লুণ্ঠনকারী লোভী চক্র যে আরও লুট করতে চায় এ বাজেট তারই সাক্ষ্য বহন করে। এক নিষ্ঠুর বাজেট সাধারণ মানুষের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত শুষে নেয়ার শোষক শ্রেণীর সর্বশেষ চেষ্টা। প্রতিরোধই মুক্তির একমাত্র পথ।
×