ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

উবাচ

ভাঙলেও মচকাব না স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাঙলেও মচকাতে চান না নাসিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক পাওয়া মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। কিন্তু ভেঙ্গে গেলে মচকালেন কী মচকালেন না- তাতে কী আর আসে যায়? বিগত সময়ে এ সিটিতে নির্বাচনে নেমেছিলেন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি মচকাতে মচকাতে শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তার সেই মাথা নত করার দৃশ্য এখনও মানুষের মায়া জাগায়। এবার অবশ্য বিএনপি হাজার চেষ্টা করেও তাকে আর সেই রকম কষ্ট দিতে পারেননি। কেননা তিনি এবার বিএনপির ফাঁদে পা দেননি। দলীয় চেয়ারপার্সনের অনুরোধও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বিনম্রভাবে। ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রার্থী হওয়ার আহ্বান। বিএনপি যতটা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তার চেয়ে বেশি দরকার এখন নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন যদি তেমন কোন প্রক্রিয়া হয়, তবে সাখাওয়াত খান ভাঙবেন না মচকাবেন না বলে পার পাবেন কী? বর্তমান ইসি ও প্রশাসনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব কি-না তাই নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন তুলেছেন খান সাহেব। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমি জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করে যাব। আমি ভেঙ্গে যাব কিন্তু মচকাব না। এ নির্বাচনকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। চাটুকারে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চাটুকারদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়। তিনি বলেছেন, চাটুকাররা দুই কূল রক্ষা করছেন। তাদের কথা শুনলে ক্ষতি হবে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, দুর্দিনে যারা আপনাকে ফেলে যাবে না, তাদের হাত-পা দুর্বল করে দেবেন না। যারা সুবিধাবাদী তাদের কথা শুনলে ক্ষতি হবে। একটু সতর্ক থাকুন। জীবনে অনেক কিছু শেষ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতা বলেন, যারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, দলে তাদের কদর যদি বেড়ে যায়Ñ তাহলে প্রকৃত নেতাকর্মীদের দুর্দিনে কাছে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। দলে এমন কিছু রাজনীতিবিদ আছেন যারা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন আবার বিএনপিকেও খুশি রাখেন বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘উভয় দলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক। এসব শুনি, তবে কোন তথ্য নেই। সুবিধা নিতে গিয়ে যারা ভা-ার ভরছে, তাদের ভা-ার যাতে খালি না হয় তাই তারা দুই কূলই রক্ষা করছেন। এসব কথার মানে কি বিএনপিতে চাটুকার আছে আর বেগম জিয়া আজকাল তাদের কথাই শুনছেন! অর্থহীন স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতায় থাকার সময় ১৯৮৮ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রথম জেলা পরিষদ আইন করেন। ওই আইনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিত সরকার। এরশাদ তখন তার মনোনীত লোকদের নিয়োগ দিতেন। এরপর জেলা পরিষদ নির্বাচন আর ভোটারের মুখ চোখে দেখেনি। এবার সীমিত আকারে হলেও সেই প্রথা ভাঙ্গা হচ্ছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। দেশের ৬১ জেলায় ২১ পদে প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তারা। সারাদেশে ৬৭ হাজার ভোটার ভোট দেবেন। প্রত্যেকটি জেলায় ১৫ ভোট কেন্দ্রে এই ভোট হবে। কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক। কিন্তু এরপরও এরশাদ বলছেন এ নির্বাচন অর্থহীন ছাড়া আর কিছু না। এরশাদ বলছেন, আমরা জেলা পরিষদ নির্বাচন করব না। কারণ এ নির্বাচন অর্থহীন। নির্বাচনের ফল কী হবে তা আমরা জানি। কী করে নির্বাচনের আগেই ফল জেনে ফেললেন তা তিনি পরিষ্কার করেননি। কিন্তু জনগণের হাতে পায়ে ধরে ভোট নেয়া যত সহজ, জনগণের নেতাদের হাতে পায়ে ধরে ভোট নেয়া ঠিক তার উল্টো।
×