ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি রানাকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এমপি রানাকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়নি। অসুস্থতাজনিত কারণে এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ দুই আসামিকে আদালতে হাজির না করায় শুনানি হয়নি। এদিকে আদালত আসামি নাসির উদ্দিন নুরু ও মাসুদুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। পুলিশ নুরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের জন্য রাষ্ট্রকর্তৃক আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এই আদেশ দেন। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারী কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, বৃহস্পতিবার এই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেলা সুপার শাজাহান আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে আদালতকে জানানো হয় অসুস্থতাজনিত কারণে টাঙ্গাইল-৩ আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে এই মামলায় টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা অপর আসামি মোহম্মদ সমীরকে গত বুধবার অসুস্থতাজনিত কারণে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিদের অনুপস্থিতির কারণে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। তবে আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নুরু ও সাবেক পৌর কমিশনার, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তাদের উভয়ের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। সেই সঙ্গে পলাতক আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং কবীর হোসেন, সানোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন চাঁনে, বাবুর জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি আমানুর রহমান খান রানা গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। উল্লেখ্য, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ টাঙ্গাইল শহরে তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলাটি প্রথমে টাঙ্গাইল থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করে।
×