ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ও দুই ডাকাত নিহত

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু ও দুই ডাকাত নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খুলনা, সাভার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবনে বনদস্যু এবং সাভারের আশুলিয়ায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুই ডাকাত নিহত হয়। শনিবার দিবাগত রাত ও রবিবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হয়। খুলনায় বন্দুকযুদ্ধের পর অস্ত্র-গুলি, দেশীয় অস্ত্র এবং হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার। সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু মোঃ রবিউল ইসলাম গাজী (২৪) নিহত হয়। রবিবার ভোরে কয়রার সুন্দরবনের কেয়াখালী খালের পূর্বপাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি টুটু বোর রাইফেল, রাইফেলের পাঁচ রাউন্ড গুলি, বন্দুকের তিন রাউন্ড গুলি, একটি রামদা, একটি ছুরি, চারটি হরিণের চামড়া এবং দুটি হরিণের শিং উদ্ধার করে। নিহত রবিউল কয়রার মহারাজপুর গ্রামের রুহুল আমীন গাজীর ছেলে। সে বনদস্যু রবিউল বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে কয়রা থানায় আটটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শমসের আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাতে ৪ নম্বর কয়রার শাকবাড়িয়া নদীর লঞ্চঘাট থেকে বনদস্যু রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সঙ্গে থাকা আরও দুই দস্যু পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর রবিউল সুন্দরবনের গহীনে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশে রওনা দেয়া হয়। রবিবার ভোরে সোনামুখী নদীর পাশে কেয়াখালী খালে পৌঁছালে রবিউলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে রবিউল ইসলাম ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যায়। তার বিরুদ্ধে কয়রা থানায় অস্ত্র আইনে তিনটি, ডাকাতির চারটি এবং বন আইনে একটিসহ আটটি মামলা রয়েছে। আশুলিয়ায় ডাকাত নিহত ॥ রবিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ছয়টি গুলির খোসা ও তিনটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ডাকাত নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ডাকাতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আনোয়ার একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি। নবীনগরে নিহত ১ ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোঃ কাজল মিয়া (৩৫) নামে একব্যক্তি নিহত হয়েছে। রবিবার ভোরে বিটঘর ইউনিয়নের মহেশ রোডে আওয়ালভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত কাজল শ্রীরামপুর গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে। পুলিশের দাবি সে এলাকার চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় নবীনগর থানার এসআই রেজাউল করিমসহ তিন পুলিশ আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে একদল সশস্ত্র ডাকাত বিটঘর ইউনিয়নের আওয়াল ব্রিজ এলাকার মহেশ রোডে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশও নিজেদের আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই ডাকাত দলের সদস্য কাজল মিয়া মারা যায়। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও চারটি রামদা উদ্ধার করেছে।
×