ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ঘটনার শঙ্কা

সড়ক কেটে ড্রেজার পাইপ স্থাপন

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৪ আগস্ট ২০১৬

সড়ক কেটে ড্রেজার পাইপ স্থাপন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ১৩ আগস্ট ॥ মদনপুর-জয়দেবপুর মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের বস্তল এলাকায় অনুমতি ছাড়াই রাস্তা কেটে ড্রেজার পাইপ বসাচ্ছেন নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে ৩-৪ দিন ধরে দিনরাত মহাসড়কটি কেটে পাইপ বসানোর কাজ চলছে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সরেজমিন জানা যায়, মদনপুর-জয়দেবপুর (এশিয়ান হাইওয়ে) মহাসড়ক দিয়ে ভারত, ভুটান ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ ও জেলার যানবাহন চলাচল করছে। প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, কনটেনার, লরি ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন চলাচল করছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি কেটে অবৈধভাবে ড্রেজার পাইপ লাইন সংযোগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান কেটে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সড়ক ও জনপথের অনুমতি ছাড়াই সোনারগাঁয়ের ড্রেজার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ৩-৪ দিন ধরে বস্তল মোড়ে রাস্তা কেটে পাইপ লাইন সংযোগ দিচ্ছেন। নুরুল ইসলাম একজন বিএনপি নেতা বলে স্থানীয় বাসিন্দরা জানান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন মহাসড়কের রাস্তার কার্পেটিং এক থেকে দুই ফুট কেটে নিচ দিয়ে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে এ ব্যবসা করছেন। এদিকে বস্তল মোড়ে একটি কালভার্ট থাকা সত্ত্বেও গত সোমবার থেকে এ স্থানে ড্রেজার পাইপ লাইন সংযোগের জন্য দিনরাত শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ড্রেজার পাইপ লাইন বসানোয় রাস্তাটি ভেঙ্গে দেবে যাচ্ছে। ড্রেজার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অকপটে স্বীকার করেন, আমি সড়ক ও জনপথ অফিস থেকে অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু তারা এখনও অনুমতি দেয়নি। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের ভিটিকান্দি সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির আলম জানান, মহাসড়ক (রাস্তা) কাটার কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। চাঁপাইয়ে ৩৫ হাজার মানুষ প্রতারণার শিকার স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ বিদেশ যাওয়ার নামে প্রতারণার শিকার ৩৫ হাজার যুবক সবকিছু হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রয়েছেন ১০ হাজার যুবক। বাকি ২৫ হাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এসব স্থানীয় প্রতারক ঢাকার অফিসে অঘোষিত এজেন্ট হিসেবে গ্রামেগঞ্জে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে লোক পাঠাবার ও চাকরি দেয়ার নাম করে তিন থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত টাকা নিয়ে বসে রয়েছে। এদের সংখ্যা জেলার চার পৌরসভায় সহস্রাধিক ও পাঁচ উপজেলায় কয়েক হাজার রয়েছে। যারা এজেন্ট সেজে গ্রামগঞ্জে প্রতারণা করছে। এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্ধশিক্ষিত। নানান কৌশলে ঢাকায় কানেকশন করে অঘোষিত এজেন্ট সেজে নির্দিষ্ট সময় ও তারিখ বেঁধে দিয়ে অস্বাভাবিক হারে টাকা আদায় করে বসে রয়েছে। কিন্তু লোক পাঠাতে পারছে না। এসব টাকা আত্মসাত করে গাড়ি-বাড়ি বানিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এদের প্রলোভনে বিদেশ যাওয়ার জন্য জমিজমা বসতভিটা বিক্রি করে টাকা তুলে দিয়েছে এসব তথাকথিত প্রতারক এজেন্টদের হাতে। অনেকে গ্রাম্য মহাজনদের কাছে চড়া সুদের শর্তে টাকা নিয়ে তুলে দিয়েছে এজেন্টদের হাতে। টাকা দেয়ার পরও দুই বছর পার হয়ে গেছে এখনও বিদেশ যেতে পারেনি। এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পাওনাদারের ভয়েই এ পালিয়ে বেড়ানো। আবার কেউ কেউ ভিটেমাটি বিক্রি করে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। প্রতারক এজেন্টরা নানান ধরনের কথা বলে ঘুরাচ্ছে। প্রমাণ না থাকার কারণে এসব অসহায় মানুষ আইনের আশ্রয়েও যেতে পারছে না।
×