ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ইউনিসেফের টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৫ জুলাই ২০১৬

বাগেরহাটে ইউনিসেফের টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য দাতা সংস্থা ইউনিসেফের বরাদ্দ লাখ লাখ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত টাকায় উপকরণ ক্রয় করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোকে শিশুবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও তা যথাযথ হচ্ছে না। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সম্মিলিত উদ্যোগের ফলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য শরণখোলা উপজেলার ৫নং আমড়াগাছিয়া, ৭নং রাজাপুর, ২২নং লাকুড়তলা, ২৪নং তাফালবাড়ী, ২৫নং এস বি তাফালবাড়ী, ৪৮ নং মধ্য সাউথখালী, ৪৭ নং দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া, ৫৯ নং তালতলি উল্লাশি, ২নং ধানসাগর নলবুনিয়া, ১৩নং খোন্তাকাটা, ২০ নং পূর্ব খাদা, ৩১ নং টিটিএ্যান্ডডিসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে বরাদ্দ টাকার চেক দেয়া হয়। উদ্দেশ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষ সাজানো এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেই সকল সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইচ্ছা মাফিক নয়ছয় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলার ৪৮নং মধ্য সাউথখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম শাহ বলেন, তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দু-দফায় গত ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ পেলেও বিদ্যালয় উন্নয়নে তেমন কোন কাজ করেনি। শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের নাম ভাঙ্গিয়ে ওই টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন। ইউনিসেফের শরণখোলা উপজেলা সমন্বয়কারী সুজন বালা জানান, বরাদ্দ টাকা দিয়ে যে সকল কাজ করার নির্দেশ রয়েছে তার তেমন কিছু হয়নি। বরাদ্দকৃত টাকা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের ইচ্ছা মাফিক খরচ করছেন। এছাড়া ২-১ একটি বিদ্যালয় সামান্য কাজ করলেও অধিকাংশ বিদ্যালয় এখনও কাজ শুরু করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। যার ফলে সম্প্রতি নির্বাহী অফিসের এক সভায় শিক্ষকরা পুরো কাজ করে দেবেন মর্মে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সেজন্য ওই শিক্ষকদের কিছু সময় দেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানগণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমদ্দার জানান, বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×