ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ডাক্তার-নার্স নেই-নাম তার হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৭ জুন ২০১৬

ডাক্তার-নার্স নেই-নাম তার হাসপাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৪ জুন ॥ চিকিৎসক সঙ্কটে অচলাবস্থা চলছে কুয়াকাটার ২০ শয্যার হাসপাতালে। উদ্বোধনের পর থেকেই এ দশা। সকল আধুনিক উপকরণ রয়েছে হাসপাতালটিতে। পাঁচ বছর ধরে চলছে এক অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও এক ওয়ার্ডবয় দিয়ে। ফলে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার মানুষসহ পর্যটকদের কোন কাজে আসছে না হাসপাতালটি। এখন হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। কুয়াকাটার গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০০৭ সালে এ হাসপাতাল নির্মাণ হয়। বিশেষ করে সমুদ্রগামী জেলেরা চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য উচ্ছ্বসিত হয় হাসপাতালটি নির্মাণের পর। ছয়জন মেডিক্যাল অফিসারসহ ২৩ লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছে মাত্র একজন ওয়ার্ডবয়। কাগজে-কলমে ডাক্তার আফরোজা আকবরকে এখানে পোস্টিং দেয়ার পর যোগ দিয়ে তিনি আজ পর্যন্ত লাপাত্তা। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। প্রধান অফিস সহকারী অফিস করেন বরিশাল ডিডি অফিসে। আর ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট ও অফিস সহকারী প্রেষণে রয়েছেন অন্যত্র। এখানে রয়েছে তিন ইউনিটের আধুনিক দ্বিতল চিকিৎসক ভবন। সেবিকা ভবন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য দুটি দ্বিতল আবাসিক ভবন, ড্রাইভার কোয়ার্টারসহ রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত অপারেশন থিয়েটার, ল্যাব, পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড, সেবিকা কক্ষ, চিকিৎসক কক্ষ, পাম্প হাউস। পর্যটন এলাকার বিবেচনায় রয়েছে ভিআইপি কক্ষ। কিন্তু সবই পড়ে আছে ফাঁকা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি হাসপাতাল না কোন পরিত্যক্ত জাদুঘর। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা জানান, উদ্বোধনের সময় এ হাসপাতালটি জনবল পরিপূর্ণ থাকলেও মাস না যেতেই জনবল সংখ্যা নেমে আসে মাত্র একজনে। দেন-দরবারের মাধ্যমে সবাই চলে গেছে অন্যত্র। বর্তমানে হাসপাতালটি চলছে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার আর এক ওয়ার্ডবয় দিয়ে। অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ কামরুজ্জামান বলেন, একার পক্ষে তিন শিফটের সেবা প্রদান কোনভাবেই সম্ভব নয়। তবে তিনি সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে রোগীরাও বলেছেন। কাউন্সিলর সাগর মোল্লা জানান, এখানে সব আছে কাগজে-কলমে; বাস্তবে কিছুই নেই। জরুরী মুহূর্তে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না পর্যটকসহ সাগরপারের মানুষ। যেতে হয় কলাপাড়া উপজেলা সদর হাসপাতালে। ফলে সাগরপারের স্বাস্থসেবা ভেস্তে যেতে বসেছে। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাহসী ভূমিকার জন্যই পুলিশ টার্গেট ॥ ও. কাদের স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে সরকারকে দুর্বল করার জন্যই এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীর ওপর আঘাত এসেছে। বাবুল সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পুলিশের যে সাহসী ভূমিকা এটা রুখতেই সন্ত্রাসীরা পুলিশকে টার্গেট করেছে। এ আঘাত শুধু পুলিশের ওপর নয়। তিনি সোমবার দুপুরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের হাসাড়া হাইওয়ে থানায় ব্যাটারি চালিত রিক্সার জব্দকৃত ব্যাটারি ধ্বংস করার সময় তিনি আরো বলেন, সারা বাংলাদেশে আজ যে সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু হয়েছে, তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা তিনজন মিলে মোটরসাইকেলে করে এসে এক মিনিটের মধ্যে টার্গেট পূরণ করে চলে যায়। তাদের টার্গেট পরিকল্পিত। কিন্তু একজন চালক ও একজন আরোহী থাকলে ওই আরোহীর পক্ষে এ রকম সন্ত্রাসী হামলা করা সম্ভব হবে না।
×