ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

দাউদ মার্চেন্টকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

দাউদ মার্চেন্টকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব গুলশান কুমার হত্যা মামলার পলাতক আসামি মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীম ও ছোটা শাকিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভারতীয় নাগরিক আব্দুর রউফ দাউদ মার্চেন্টকে একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের তরফ থেকে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনে দাউদ মার্চেন্টের অন্যান্য মামলা সংক্রান্ত তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে। মার্চেন্টের বিরুদ্ধে নতুন কোন মামলা নেই বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো একটি মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়। সর্বশেষ মামলায় অব্যাহত পাওয়ায় দাউদ মার্চেন্টকে ভারতের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং তাকে ভারতের ফেরত পাওয়ার সম্ভবনার পথ সৃষ্টি হলো। এখন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিষয়টির সমাধান হবে। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে করা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ। তিনি বলেন, আদালত তাদের কাছে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে করা মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চেয়েছেন। যে অভিযোগের কারণে সন্দেহভাজন হিসেবে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে তদন্তে কোন তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এজন্য মামলাটি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৭ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সদর থানা এলাকা থেকে গুলশান কুমার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড আব্দুর রউফ দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করে। দাউদের তথ্যমতে, ভারতের আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড ভারতীয় নাগরিক জাহিদ শেখ গ্রেফতার হয় ডিবির হাতে। জাহিদ মাফিয়া ডন ছোটা শাকিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে ভারতের বহু শিবসেনা হত্যার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। সেসব মামলায় গত বছর সাজার মেয়াদ শেষ হয় দাউদ মার্চেন্টের। গত বছর জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর ডিবি পুলিশ ৫৪ ধারায় দাউদ মার্চেন্টকে আবার গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দাউদ মার্চেন্ট ও জাহিদ শেখের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সূত্র বলছে, অব্যাহতি পাওয়ায় এবং অন্যকোন ঝামেলা না থাকলে দাউদ মার্চেন্টকে ভারতের কাছে তুলে দিতে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে আর কোন বাধা থাকছে না। এমনকি ভারতের তরফ থেকেও দাউদ মার্চেন্টকে ফেরত নিতে আর কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।
×