
ছবি: সংগৃহীত
দেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে প্রাইম ব্যাংক চালু করেছে ‘খামার ঋণ (Farm/Non-Crop Loan)’। এই ঋণ কৃষি সংশ্লিষ্ট নানান খাতে যেমন মৎস্য, হাঁস-মুরগির খামার, হ্যাচারি, গরু মোটাতাজাকরণ, দুগ্ধ উৎপাদন, হাঁস পালন, সমন্বিত খামার, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট ও সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে পুঁজি ব্যয় বা কার্যকর মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ঋণ গ্রহণের অন্যান্য শর্তসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
এই ঋণ পরিকল্পনার আওতায় একজন ব্যক্তি বা খামার মালিক সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা (৫০০ লাখ) পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। অর্থায়ন পদ্ধতি হতে পারে স্বল্পমেয়াদি ঋণ, টার্ম লোন, ক্যাশ ক্রেডিট (হাইপোথেকেশন) বা ওভারড্রাফট। মেয়াদের দিক থেকে, ক্যাশ ক্রেডিট বা ওভারড্রাফটের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছর এবং টার্ম লোনের জন্য সর্বোচ্চ ৪.৫ বছর পর্যন্ত ঋণের মেয়াদ নির্ধারিত, তবে গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে এটি ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারে।
ঋণ গ্রহণের জন্য যোগ্যতা হিসেবে প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, বয়স ২১ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে (ঋণ মেয়াদ শেষে বয়স ৬৫ এর বেশি হওয়া যাবে না)। এছাড়া গ্রাহককে নির্ধারিত এলাকায় অন্তত দুই বছর বসবাস করতে হবে এবং খামার পরিচালনায় ন্যূনতম দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ব্যবসার অবস্থান গত দুই বছরে পরিবর্তিত হয়নি—এই শর্তটিও প্রযোজ্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে গ্রাহককে স্টক, যন্ত্রপাতি, যানবাহন ইত্যাদির উপর হাইপোথিকেশন দিতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে ব্যক্তিগত জামানত, পোস্টডেট চেক, নগদ জামানতের উপর লিয়েন (যেমন এফডিআর), প্রয়োজন অনুযায়ী রেজিস্টার্ড মর্টগেজসহ ব্যাংকিং বিধিমালায় নির্ধারিত অন্যান্য নিরাপত্তা দলিল।
এই ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক কৃষি ও খামার খাতকে আরও কার্যকর, লাভজনক ও প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন করতে প্রাইম ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: প্রাইম ব্যাংক ওয়েবসাইট
আবির