তূয়া নূর
নিকি গ্রাইমসের লেখা আমেরিকান আফ্রিকান জনগণের অধিকার ও ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আবর্তিত। তিনি কবি, ঔপন্যাসিক ও চিত্রকর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
নিকি গ্রাইমস নিউইয়র্কের হারলেমে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালে। এই হারলেমকে বলা হয় কৃষ্ণাঙ্গ রেনেসাঁর সূতিকাঘর। ছয় বছর বয়সে প্রথম কবিতা লেখেন। তিনি প্রথম কবিতা পাঠ করেন ১৩ বছর বয়সে কাউন্টি কুলেন লাইব্রেরিতে। কিশোর বয়সে তিনি ঔপন্যাসিক, লেখক ও কবি জেমস বাল্ডউইনকে পান গাইড হিসাবে।
তিনি নিউ জার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং ইংরেজি এবং আফ্রিকান ভাষায় বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। এখানে টনি কেড বামবারা, নিকি জিওভানি এবং মিগুয়েল আলগারিন তার সহপাঠী ছিলেন।
তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা সত্তরের উপর। শিশু-কিশোর ও বড়দের জন্য অসংখ্য পুরস্কার-বিজয়ী বইয়ের রচয়িতা তিনি। গ্রিমস গার্ভেস চয়েস (২০১৬), পোয়েমস ইন দ্য এ্যাটিক (২০১৫), ব্রঙ্কস মাস্কেরেড (২০০২) ও বারাক ওবামা সান অফ প্রমিস, চাইল্ড অফ হোপ (২০০৮), এটা ছিল নিউইয়র্ক টাইমস বেস্টসেলার এবং ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য এ্যাডভান্সমেন্ট অফ কালারড পিপল (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নাগরিক অধিকার সংস্থা, যা ১৯০১ সালে গঠিত হয়েছিল) কর্তৃক ইমেজ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
তিনি ২০০৩ সালের কোরেটা স্কট কিং এ্যাওয়ার্ড লাভ করে যা আমেরিকান লাইব্রেরি এ্যাসোসিয়েশন প্রতি বছর একজন আফ্রিকান-আমেরিকান লেখক এবং অলঙ্করণ শিল্পীকে দেয়া হয় অসামান্য অবদানের জন্য। শিশুদের জন্য কবিতায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ২০০৭ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার্স অফ ইংলিশ এ্যাওয়ার্ড, ২০১৬ সালে ভার্জিনিয়া হ্যামিল্টন সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১৭ সালে লাভ করেন ওয়াইল্ডার মেডেল যা এখন চিলড্রেন লিটারেচার লিগ্যাসি এ্যাওয়ার্ড নামে পরিচিত।
তিনি এখনও লিখে চলেছেন শিশু-কিশোর ও বড়দের জন্য। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি বুনন, ফটোগ্রাফি এবং বাগান করতে ভালবাসেন। জলরঙ, ফাইবার আর্টস ও কোলাজ তৈরিতে পারদর্শী তিনি।
** কবিতাগুলো
নিকি গ্রাইমস
স্মৃতির গভীরে ঢুকে বাছ-বিচার করে
খুবই কম সময়ই পারি
পুরো ঠিক থেকে বা অশান্ত না হয়ে বের হয়ে আসতে।
পাথর ভেদ করে যাওয়া কঠিন,
সময়গুলো খুবই ভাবগম্ভীর এবং জানি
কোন্গুলো বিরল রত্নতুল্য,
কোন্গুলো কাঁচামাল কয়লা,
কোন্গুলো নিছক কাদামাটির পাললিক শিলা বা স্লেট পাথর।
একের পর এক তাইতো
পৃষ্ঠার ভেতর দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়,
যখন কেউ একজন যায় সাদা পাতা কেটে,
রেখে যায় পথে রক্তের দাগ,
যতই ক্ষীণকায় হোক না সেই স্রোতধারা,
তখন আমি বুঝতে পারি
আমি খুঁজে পেয়েছি আসল জিনিস,
সেই হীরক খ-,
অমূল্য রত্ন সমূহের ভেতর যা অন্যতম
আমার যত ব্যথা-বেদনার উৎসধারা।
‘এই তো সেখানে’ আমি বলে উঠি,
‘স্মৃতি পুষে রেখে কি লাভ!’