
ছবি: সংগৃহীত
স্ট্রোকের ঝুঁকি বয়স ও লিঙ্গভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা বেশি। এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো হরমোনজনিত পার্থক্য।
নারীদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে যে ইস্ট্রোজেন ও অন্যান্য হরমোন উৎপন্ন হয়, তা স্ট্রোকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে ৫০ বছর বয়সের পর নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে এসব হরমোনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং তখন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে নারীরাও পুরুষদের সমান হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে, পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন নামক একটি হরমোন থাকে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ানোর পেছনে কিছু পরিবর্তনযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় কারণ রয়েছে।
পরিবর্তনযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন)
-
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
-
অতিরিক্ত ওজন (অবেসিটি)
-
ব্যায়ামের অভাব
-
ধূমপান
এই কারণগুলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
অপরদিকে, কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো পরিবর্তনযোগ্য নয়। যেমন:
-
লিঙ্গ (পুরুষ বা নারী)
-
জাতিগত পরিচয় (যেমন মঙ্গোলিয়ান বা জাপানিজ)
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনধারায় পরিবর্তন এনে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সূত্র: https://www.facebook.com/share/r/1B4zVUeaQi/
আবির