ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্যাশনে বড়দিন

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

ফ্যাশনে বড়দিন

মাহবুব শরীফ উৎসবের ভিন্নতা আর চলমান ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে বড়দিন ও থার্টিফার্স্টকে কেন্দ্র করে কিছু ফরমাল ও গর্জিয়াস ড্রেস দিয়ে সাজিয়েছে প্রতিটি ফ্যাশন হাউস। খ্রীস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই দিনটিতে সবাই অনেক মজা করে। পছন্দের খাবার রান্না, ধর্মীয় উপাসনা ও স্বজনদের খোঁজ-খবর নেয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যেই চলে যায় তাদের এই দিনটি। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের পছন্দেরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। খ্রীস্টানরা ধর্মাবলম্বীরা সাধারণত বড়দিনে যে সব পোশাক বেছে নেয় সে সব পোশাক সম্পর্কে কিছু তথ্যচিত্র তুলে ধরা হলো - মেয়েরা সাধারণত গাউনকে বেছে নেন। যারা ভুল কিছু ধারণার কারণে পরিধান করছেন না তারাও বেছে নিতে পারেন এই গাউন। গাউন পোশাকটি অতীতে পশ্চিমা দেশের পোশাক হিসেবেই ধরা হতো, তবে এখন আমাদের দেশেও তরুণীদের এই পোশাক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্য সব উৎসবের মতো বড়দিনেও উৎসবের পোশাক হিসেবে বেছে নিচ্ছেন গাউনকে। যে কারণে গাউন জনপ্রিয় ইদানিং শেষ হওয়া শীর্ষস্থানের সিনেমাগুলোতে নামী-দামী অভিনেত্রীদের গাউন পরতে দেখা গেছে। আর তাই গাউন নিয়ে একটু বেশি উৎসাহ কাজ করছে সবার মনে। সবাই চায় স্বস্তিকর পোশাক করতে আর এতে গাউনের বিকল্প নেই। এ কারণেই হয়ত তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে গাউন। গাউনের রং ও কাপড়ের ধরন শিফন জর্জেটের কাপড়ের গাউনগুলো এবার বেশি চলছে। দেশীয় ভাব আনতে টাই ডাই-এর ব্যবহার করা হয়েছে। জর্জেট, শিফন, সাটিন, নেট, লিলেনসহ বিভিন্ন কাপড় দিয়ে গাউন তৈরি করা হচ্ছে। অনেকে আবার কাপড় কিনে নিজের পছন্দের গাউন বানাচ্ছেন। আপনিও যদি বানাতে চান তাহলে একরঙা কাপড়ের গাউনের উপর প্রিন্টের কাপড়ের কটি দিয়ে গাউন বানাতে পারেন। মনে হয় বেশ পছন্দ হবে এই ডিজাইন। রাতের পার্টির জন্য সাদা, নীল, মেরুন এই রংগুলো চলছে। বিভিন্ন কাটের গাউন পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। অনেক ফ্যাশন হাউসে গাউনের মতো দেখতে কামিজ করেছে। এগুলোতে আনারকলি এবং এলাইন কাট দেয়া হয়েছে। তরুণীদের কথা মাথায় রেখে লিলেন কাপড়ের ব্যবহার বেশি হয়েছে। আর একটু বয়স্কদের কথা ভেবে সিল্কের ব্যবহার হয়েছে। ফ্যাশন হাউস কর্তৃপক্ষের আশা এই পোশাকগুলো ক্রেতাদের মানাবে। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, গাউনের সাথে চুল বেধে রাখার সম্পর্কে কথা বললেন। গলার কাট কি রকম তার উপর নির্ভর করে চুলের স্টাইল করা উচিত। উঁচু গলা হলে অবশ্যই চুল বেঁধে রাখতে হবে। আর গলার ভিজাই বড় হলে চুল খোলা রাখতে পারেন। কোথায় পাবেন এবং কেমন দাম দেশের প্রায় সব শপিংমলেই আছে বাহারী রং বাহারী ডিজাইনের গাউন। বসুন্ধরা সিটি, চাদনীচক, সিমান্ত স্কয়ার, সব খানেই পাবেন পছন্দের গাউন। এ ছাড়াও দেশী ফ্যাশন হাউস আড়ং রঙ, কে-ক্র্যাফট, ফড়িং- এগুলোতে তো আছেই। কাপড় ডিজাইন ভেদে এসব গাউনের দাম পড়বে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কাপড় কিনে গাউন বানাতে চাইলে নিউমার্কেট থেকে গজ কাপড় কিনে নিতে পারেন। সাথে পছন্দমতো লেস। তাহলে কিনে ফেলুন আপনার পছন্দের গাউন আর মেতে উঠুন বড়দিন উৎসব আনন্দে। উৎসবে মেয়েদের মতো ছেলেরাও কিন্তু কম ফ্যাশন করে না। বতমান প্রজন্ম ফ্যাশনে অন্য পোশাকের পাশাপাশি ক্যাজুয়াল ব্লেজারই বেশি পছন্দ করে। ছেলেরা তো পরছেই, মেয়েদেরও পরতে দেখা যায়। বাজারে পশ্চিমা ধাচের নিত্যনতুন ডিজাইনের বেøজার পাওয়া যায়। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচা সেই সঙ্গে হাল ফ্যাশনের বিষয়টি মাথায় রেখে বর্তমান ব্লেজারের ব্যবহার প্যান্ট, টি-শার্টের সঙ্গে পরছে ব্লেজার। মেয়েরা প্যান্ট-টপস, শার্ট, শার্টের সঙ্গে পরছে ফ্যাশনেবল ক্যাজুয়াল ব্লেজার। ফ্যাশনের চাকা কখনোই থেমে থাকে না। এ বছরের ফ্যাশন হলো দুই বাটন সাইড ওপেন ব্লেজারগুলো। যেহেতু শীতকাল তাই রঙের প্রাধান্য একটু বেশি। তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ন্যাড়ো ডিজাইনের ব্লেজারগুলো। ফরমাল ব্লেজার ফরমাল জেন্টস এবং লেডিস ব্লেজারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ঘুরেফিরে চেক কাপড়ের ব্লেজারই বেশি। ফরমাল ব্লেজারের ক্ষেত্রে নারী পুরুষ উভয়েই ঐতিহ্য ও ফিটিং-এর ব্যাপারটি মাথায় রাখেন। বর্তমান সময়টা হলো বেশ প্রতিযোগিতার এবং মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আধুনিকতা ও আভিজাত্যের বিকল্প নেই। তাই অফিসিয়াল বা কর্পোরেট লুকের ব্লেজার বেশি চলছে। শুধু অফিস কেন? যে কোন পার্টিতে আভিজাত্যের ছোঁয়া পেতে ব্লেজার ব্যবহার করতে পারেন। বানিয়ে নিন ব্লেজার রেডিমেট ব্লেজার না কিনে আপনি ইচ্ছে করলেই বানিয়ে নিতে পারেন। জানিয়ে দিচ্ছি বেশ কিছু ব্রান্ডের কাপড়ের খোঁজ খবর। কিছুটা সস্তায় সিংগেল ব্লেজার বানাতে চাইলে লান্সে সেশন, সাফারি, লানুভা, ভিনটেজ, ট্রাপিক্যাল, টপলাইন ভেনোন্সিরা, স্টার লিং, লাকাই, ডি অরো ব্রান্ডের কাপড় কিনতে পারেন। দাম পড়বে ২ হাজার ৪শ’ থেকে ৮ হাজার ৫শ’ টাকার মতো। কিছুটা বাজেট বাড়ালে নিতে পারেন ডিক জ্যাম, রেমন্ড, এলিশন, ইটালিয়ান ভারসেম, গুচি ও ডরমোন ব্রান্ডের কাপড়। দাম পড়বে ১৬ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে। একটু ভাল কোয়ালিটির আরামদায়ক সেই সঙ্গে বাজেট সমস্যা না হলে কিনতে পারেন ভেনচুরা, জেননি, গোল্ডেন ট্রফি, এলিশন, রয়েল, অপেরা, গুচি আরমান ময়ূরের মতো নামী দামী ব্রান্ড। খরচ পড়বে ৯ হাজার ৫শ’ থেকে ৩৮ হাজার টাকার মধ্যে। আবার ব্লেজার তৈরি করতে টেইলার্স ভেদে খরচ পড়বে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। এবারের বড়দিন গাউন আর বেøজারে কাটাবে তরুণ-তরুণীরা। স্মার্ট পোশাকে পার্টিগুলোতে হবে পশ্চিমা দেশগুলোর ধাচের।
×