ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাকেই ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৪ জুলাই ২০১৭

পোশাকেই ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি

পোশাক রীতি বা ড্রেসকোড সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এ সম্পর্কে প্রত্যেকেরই ভাল ধারণা থাকা উচিত, কারণ এর ওপরই নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিত্ব, পরিচয়, অবস্থান, এমনকি সফলতা পর্যন্ত! কিন্তু পোশাক নিয়ে আমাদের অনেকেরই রয়েছে অস্পষ্ট ধারণা। তাই কোথায় কেমন পোশাক পরিধান করা উচিত এবং সর্বোপরি ড্রেস কোডের সামগ্রিক ধারণা দিতে আমাদের আজকের এই আয়োজন। লিখেছেন- মুহাতাসামন নিওন ড্রেস কোড মূলত এক ধরনের অলিখিত নিয়ম, যেটা অনুসারে মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন স্থান বা সময়ে উপযুক্ত পোশাক পরতে হয়। অবশ্য এটা যে সবসময় অলিখিত তা নয়। কেননা অনেক সময় অফিস বা অনুষ্ঠানে ড্রেস কোড উল্লেখ করা থাকে। সুনির্দিষ্ট পোশাক পরা নিয়মতান্ত্রিকতা এবং রুচির পরিচায়ক। এটি কর্মক্ষেত্রে কাজে মনোনিবেশ করতে যেমন সহায়তা করে, তেমনি আপনি যখন ভ্রমণে বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আছেন, তখন আপনার মনকে নিরুদ্বেগ করে আনন্দের সঙ্গে মিশে যেতেও সাহায্য করে। আপনি নিশ্চয়ই ফর্মাল শার্ট-প্যান্ট এবং টাই পরে বন্ধু মহলে গিয়ে আড্ডা দিতে চাইবেন না! একইভাবে অফিসেও হাফ প্যান্ট পরে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। অনেকেই মনে করেন ড্রেস কোডের ঝামেলাটা শুরু হয় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময়। ইউনিভার্সিটিতে আপনি হয়ত পরেন রং চটা জিন্সের সঙ্গে চে গুয়েভারার লোগো সংবলিত টি-শার্ট, মেয়েরা হয়ত পরেন গাড় রঙের কোন সালোয়ার কামিজ, সঙ্গে নানা রকম অলঙ্কার। কিন্তু যখনই কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় আসে, তখনই শুরু হয় ড্রেস কোড নামক ঝামেলার। আসলে ব্যাপারটি আদৌ সে রকম না, ড্রেস কোড যে শুধু অফিসে যাওয়ার সময়ই প্রাসঙ্গিক তা নয়। কর্মক্ষেত্র, ক্যাম্পাস, বাইরে ঘোরাফেরা এমনকি বাসায় থাকার সময়ও আলাদা আলাদা পোশাকের আদব কেতা রয়েছে। আবার একই প্রতিষ্ঠানের ভেতর ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্টে থাকতে পারে আলাদা আলাদা পোশাকের চল। যেমন- প্রতিষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ ডিপার্টমেন্ট বা কারিগরি শাখায় পোশাকের তেমন নিয়মকানুন থাকে না। কিন্তু এক্সিকিউটিভ, মিডিয়া এসব শাখায় সাধারণত ফর্মাল পোশাক পরা হয়ে থাকে, কারণ তারা সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে কাজ করেন। আবার সার্ভিস অথবা সেলস শাখায় সেমি ক্যাজুয়াল কিংবা বিজনেস ক্যাজুয়াল পোশাক পরার চল রয়েছে।
×