ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার প্রতিরোধক আম

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৭ জুলাই ২০১৭

ক্যান্সার প্রতিরোধক আম

উপমহাদেশের সবচেয়ে সুস্বাদু ফল আম। বাংলাদেশ এবং ভারতে যে প্রজাতির আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম গধহমরভবৎধ রহফরপধ। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে। আমের বিভিন্ন জাত আছে, যেমন- ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, গোপালভোগ, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা ইত্যাদি। বাংলাদেশের জাতীয় গাছ আম গাছ। আম কাঁচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। আম আমাদের শরীরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। জেনে নিন আমের কিছু উপকারিতা- ১. কাঁচা আম ক্যারোটিন ও ভিটামিনএ সমৃদ্ধ, যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে, রাত কানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চোখ ভাল রাখে। ২. আমে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। এই ভিটামিন শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে রাখে সতেজ। ঘুম আসতে সাহায্য করে। ৩. আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিনসির পরিমাণ বেশি। ৪. আমে বেটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়াম থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৫. আমের মধ্যে আছে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে, যেমন, স্তন ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি। ৬. আমে খনিজ লবণের উপস্থিতিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। ৭. আমে রয়েছে প্রচুর এনজাইম যা শরীরের প্রোটিনের অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় । ৮. প্রতিদিন আম খেলে দেহেরক্ষয় রোধ হয় ও স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। ৯. আমে রয়েছে ম্যালিক এাসিড, সাইট্রিক এসিড ও টারটারিক এসিড যা শরীরে ক্ষার ধরে রাখে। ১০. কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর হয়, আবার শরীরের রক্ত পরিষ্কার থাকে। যাপিত ডেস্ক
×