শিশুর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা জানার জন্য সব বাবা-মা চিন্তিত থাকেন। তাদের চিন্তা দূর করার জন্য স্প্রাউটলিং কোম্পানি উদ্ভাবন করেছে আগামী প্রজন্মের বেবি মনিটর। শিশুর গোড়ালির উপরের লাগিয়ে রাখা এই মনিটরের সাহায্যে শিশুর হৃদস্পন্দনের হার, শরীরের তাপ, শিশু কোন অবস্থায় আছে ইত্যাদি তথ্য মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে। শিশু কখন ঘুমাবে, কখন জেগে উঠবে ইত্যাকার অভ্যাসগুলো জানা হয়ে যাবার পর স্প্রাউটলিং বাবা-মাকে আরও কিছু সহায়ক পূর্বাভাস দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে বলে আশা করে।
বল যখন শিক্ষক!
কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের চাহিদা যখন আকাশচুম্বী সে সময় দেখা যাচ্ছে যে, বেশির ভাগ আমেরিকান তাদের জীবনের গঠনমূলক অধ্যায়ে সঙ্কেত পদ্ধতি তেমন কিছুই জানে না বা জানলেও তা অতি সামান্য। ‘মেড বাই মেনি’ নামে নিউইয়র্কের একটা ডিজিটাল কনসাল্টিং ফার্ম এ অবস্থাটা বদলে দেয়ার চেষ্টা করছে। তারা উদ্ভাবন করেছে হ্যাকাবল নামে একটি খেলনা। এটি হচ্ছে মোবাইল এ্যাপের সঙ্গে যুক্ত একটা স্মার্ট বল যা বাচ্চাদের খেলা উদ্ভাবন করতে ও খেলতে সুযোগ করে দেয়। হ্যাকাবল বাচ্চাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে, একত্রে খেলতে ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে উৎসাহিত করে। আইপ্যাড ও আইফোন এ্যাপের বদৌলতে বলটিকে প্রোগ্রাম করা। বিভিন্ন শব্দ উৎপন্ন করে বা কম্পন তৈরি করে এর রং ও আলোর বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটানো সহজ হয়েছে। ব্লুট্রুথ প্রযুুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হ্যাকাবল এ্যাপের সাহায্যে বাচ্চাদের পক্ষে নিজেদের গেম উদ্ভাবন করা এবং খেলার মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক বিষয়াদি শেখা আজ সম্ভব হয়ে উঠেছে।
প্রশ্নের উত্তর দেবে খেলনা
টকিং টয়েস কয়েক দশক ধরে খেলনার জগতে রাজত্ব করেছে। এখন এসেছে এমন খেলনা যা বাচ্চাদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ উপায়ে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারে। যেমন কগনিটয়েস কোম্পানির ডিনো। এটি হলো খেলনা ডাইনোসর যার সঙ্গে আইবিএম-এর ওয়াটসন প্রযুক্তি এমনভাবে যুক্ত যে ওটা ৫ থেকে ৯ বছরের বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়ে থাকে। যেমন পৃথিবী থেকে চাঁদ কত দূরে? ডিনো এর উত্তর দিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, ডিনো পাল্টা প্রশ্ন করে বাচ্চাদের গণিতের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। যেমন প্রশ্ন করতে পারে দুইয়ে দুইয়ে কত হয়? দশ পর্যন্ত গুনতে পার? এভাবে কগনিটয়েস কোম্পানি বাচ্চাদের শিক্ষাগত বিকাশকে একটা আনন্দময় অভিজ্ঞতায় পরিণত করার চেষ্টা করছে।
ঝিলিমিলি ডেস্ক
শীর্ষ সংবাদ: