
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে রাশিয়া একটি কৌশলগত, ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে সোমবার (২৩ জুন) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চাইছে এবং এ ব্যাপারে পুতিনের মধ্যস্থতা কামনা করছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট পুতিন এখনো সরাসরি মার্কিন হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, কিন্তু রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে “জোরালোভাবে নিন্দা” জানিয়েছে।
তারা বলেছে, “এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং তা পুরো অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।”
ইউক্রেনে রাশিয়ার নিজস্ব সামরিক অভিযানের কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, “আমরা এই ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষে সামরিকভাবে জড়াতে পারি না। তাছাড়া, এই পরিস্থিতির কোনো সামরিক সমাধান নেই বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”
তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং চলমান সংঘর্ষের শুরু থেকেই রাশিয়া ইরানের পাশে থেকেছে।
রাশিয়া ইসরায়েল নিয়েও খুব সাবধানী অবস্থান নিয়েছে। পুতিন বলেন, “ইসরায়েল প্রায় একটি রুশ ভাষাভাষী দেশ, কারণ এক কোটি ৫০ লাখেরও বেশি রুশ ভাষাভাষী মানুষ সেখানে বাস করে।”
এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, রাশিয়া ইসরায়েল বিরোধী অবস্থান নিচ্ছে না, বরং কৌশলগত ভারসাম্য রাখছে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালিয়ে খুব একটা কিছু অর্জন করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প একসময় শান্তির বার্তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, এখন তিনিই আবার নতুন এক যুদ্ধের সূচনা করেছেন।”
মুমু ২