
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "শাস্তি চলতেই থাকবে" — বিশেষ করে "জায়োনিস্ট শত্রুর" বিরুদ্ধে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানে হামলা চালানোর পর এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ইরান থেকে নিক্ষেপিত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তবে ইরানি গণমাধ্যম বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া হয়েছিল।
রাজধানী তেহরানসহ কারাজ, শিরাজ এবং তাবরিজ শহরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব শহরে রাতে সক্রিয় করা হয়েছিল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বর্তমানে মস্কোতে অবস্থান করছেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে আরও সুনির্দিষ্ট, গম্ভীর এবং ঘনিষ্ঠ পরামর্শ প্রয়োজন।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইসরায়েল একটি ড্রোন দিয়ে মধ্য ইরানে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায়, এতে তিনজন নিহত হন— যাদের মধ্যে ছিলেন একজন রোগী ও গাড়িচালক। অন্য একটি হামলায় নিহত হয়েছেন এক মা ও তাঁর ছয় বছরের সন্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় অস্ট্রেলিয়া ও ইউক্রেন তাদের সমর্থন জানালেও উত্তর কোরিয়া তীব্র ভাষায় এর নিন্দা জানিয়েছে, একে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও ভূখণ্ডে সরাসরি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
সূত্র: আলজাজিরা
আবির