
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮) নামে এক ঠিকাদার সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল বিকালে তার কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ সময় কক্ষ থেকে মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া একাধিক সুইসাইডাল নোট (চিরকুট) উদ্ধার করা হয়।
এর একটিতে লেখা ছিল “বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না।”ধারণা করা হচ্ছে,ব্যবসায়িক বিরোধ ও পারিবারিক ঝামেলার কারণে বুলবুল আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুলবুল স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিনতলা বাড়িতে বসবাস করতেন। রোববার দুপুরে তিনি বাসার দোতলায় তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর আর তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে সোমবার বিকালে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, নুরুজ্জামান বুলবুল বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঠিকাদারির কাজ করতেন। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দিকে জেলা শহরতলীর হাড়ুকান্দি গ্রামের জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যোগ দেন। শহরের মুন্সিবাজার বাইপাস মোড়ের পাশে বুলবুল ও বিল্লালের যৌথভাবে কেনা জমির ওপরে চারতলা একটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়। বিল্লালের সাথে তার বড় ভাই-ছোট ভাই সুলভ সম্পর্ক ছিল।
শেখ হাসিনার বিয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার আসামি খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের মুরগি খামারের ম্যানেজার ছিলেন বিল্লাল হোসেন। ফরিদপুরের রাজনীতিতে মোশাররফ হোসেনের পতনের পর বিল্লাল হোসেন আত্মগোপনে চলে যান।
বুলবুলের কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সুইসাইড নোটের বিষয়ে বিল্লাল হোসেনের বক্তব্য জানা যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বুলবুলের পরিবারের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।
আফরোজা