ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিউলের সঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়ার ইচ্ছা কিমের

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৭ মার্চ ২০১৮

সিউলের সঙ্গে নতুন ইতিহাস গড়ার ইচ্ছা কিমের

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। তিনি সিউলের সফররত প্রতিনিধি দলের কাছে জাতীয় পুনরেকত্রীকরণের মাধ্যমে এক নতুন ইতিহাস গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। -খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা দফতরের প্রধান চুং ইয়োই ইয়োংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের দুদিনের পিয়ংইয়ং সফরকালে কিম এ মন্তব্য করেন। বাবার মৃত্যুর পর ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর কিমের সঙ্গে দক্ষিণ কোরীয় শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের এটাই প্রথম সাক্ষাত। উত্তর কোরিয়ায় সরকারী সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, কিম কোরীয় উপদ্বীপে তীব্র সামরিক উত্তেজনা নিরসনে এবং বহুমুখী সংলাপ, যোগাযোগ, সহযোগিতা ও বিনিময় উদ্যোগ সক্রিয় করার পথে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি একটি কথা বারবার স্পষ্ট করে বলেন যে, এটা আমাদের সঙ্গতিপূর্ণ ও নীতিগত অবস্থান এবং দুই কোরিয়ার পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি তার দৃঢ় ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় পুনরেকত্রীকরণের নতুন ইতিহাস লেখা হবে যা বিশ্বের কাছে গর্বের বিষয় বলে বিবেচিত হবে। দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধিরা পিয়ংইয়ংয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন কোবাংসান উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। বৈঠকে কোন ধরনের সন্তোষজনক চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয় এবং মুনের পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ বহাল থাকা সত্ত্বেও কোন তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দু’পক্ষ প্রকারান্তরে এক যুদ্ধাবস্থানে রয়েছে। কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের দু’মাস পর দক্ষিণ কোরীয় প্রতিনিধিরা এ সফরে আসেন এবং মুনের উদারপন্থী সরকার গতবছর ক্ষমতায় আসার পর এ ধরনের এটাই প্রথম সফর। কর্মকর্তারা মুনের একটি চিঠি হস্তান্তর করেন এবং কিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিম ও তার স্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে ওয়ার্কার্স পার্টির সদর দফতরে প্রতিনিধিদের সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করেন। দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা এই প্রথম এ ভবনটি পরিদর্শন করলেন। সিউলের প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে একথা বলা হয়। কিমের ছোট বোন ও একান্ত উপদেষ্টা কিম ইয়ো-জোংও এই ভোজে অংশ নেন। ভোজ অনুষ্ঠান চার ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়। পিয়ংইয়ংয়ের উদ্দেশে যাত্রার আগে চুং বলেছেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণুমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবেন এবং উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংলাপ অনুষ্ঠানে উৎসাহ যোগাবেন। পিয়ংইয়ং বারবার বলে আসছে যে, তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐ উদ্যোগের বিরোধিতা করে এসেছেন। ওয়াশিংটন উপরন্তু সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপারে নতুন করে এক বড় ধরনের প্রতীকী নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী থেকে সরে আসলেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্যই এই অস্ত্রের প্রয়োজন বলে মনে করে পিয়ংইয়ং।
×