
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক মার্কিন বিমান হামলার “কার্যকারিতা” নিয়ে পেন্টাগনের একটি গোপন মূল্যায়ন রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওয়াশিংটনে। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস কংগ্রেস সদস্যদের অতি-গোপন নথিপত্রে প্রবেশাধিকার সীমিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিস জানিয়েছে, বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেট পেন্টাগনে এক জরুরি ব্রিফিংয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি বলেন, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ঘটনাটি নিয়ে ইতোমধ্যে স্বাধীন তদন্ত শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য যেন ভবিষ্যতে ফাঁস না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কংগ্রেসের ওপর নজরদারি এবং তাদের তথ্যপ্রাপ্তির পরিধি সীমিত করতে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে।
তবে এই খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেসের ডেমোক্রেট সদস্যরা। তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নকারী শাখার ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের শামিল হবে।
এক ডেমোক্রেট সিনেটর বলেন, “প্রথমে জানা জরুরি যে কীভাবে হামলার প্রাথমিক মূল্যায়ন রিপোর্ট ফাঁস হলো। দায়ীদের খুঁজে বের করাই হওয়া উচিত মূল অগ্রাধিকার, বরং কংগ্রেসকে দোষারোপ নয়।”
এরইমধ্যে, বুধবার সন্ধ্যায় সিআইএ প্রধান একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়—ইরানের বেশ কিছু নিউক্লিয়ার স্থাপনায় “গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি” হয়েছে। তবে ওই হামলায় ইরানের পরমাণু কার্যক্রম কতটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
হোয়াইট হাউসের তরফে হামলাকে “অতুলনীয় সাফল্য” এবং “সম্পূর্ণ ধ্বংস নিশ্চিত করা হয়েছে” বললেও, গোপন রিপোর্ট ফাঁসের পর এই দাবি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘটনার পেছনের প্রকৃত তথ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হলে ওয়াশিংটনের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
নোভা