
প্রতীকী ছবি
স্যাটেলাইট চিত্রে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে একটি বিশাল ১,০০০ একর সামরিক বেসের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে, যা মার্কিন গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে জরুরি বৈঠক ডাকতে বাধ্য করেছে। এই মেগাবেসটি পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, চীনের বৈশ্বিক সামরিক প্রসারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
বেসের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
-
অবস্থান: তাকলামাকান মরুভূমির নিকটে, ভারত ও মধ্য এশিয়ার কৌশলগত অবস্থানে
-
সুবিধা: বিমান অবতরণের জন্য একাধিক রানওয়ে, মিসাইল সাইলো ও সেনা ব্যারাক
-
বিশেষত্ব: ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের সম্ভাব্য অস্তিত্ব
পেন্টাগন এই উন্নয়নকে "অশান্তিকর" বলে বর্ণনা করেছে। মার্কিন সিনেটের সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান সেনেটর জ্যাক রিড বলেন, "এটি শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা এই হুমকি উপেক্ষা করতে পারি না।"
স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ড. মেই লিং এর মতে, "এই বেস চীনের সিল্ক রোড উদ্যোগের সামরিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি ভারত ও রাশিয়ার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।"
গত পাঁচ বছরে চীন জিনজিয়াংয়ে তার সামরিক অবকাঠামো ৩০০% বৃদ্ধি করেছে। নতুন এই বেসটি পূর্বতন সীমান্ত চৌকিগুলোকে একটি সমন্বিত কমান্ড স্ট্রাকচারে রূপান্তরিত করছে।
নাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আগামী সপ্তাহে এই ইস্যুতে জরুরি আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন প্রশাসন চীনের কাছে এই বেসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাবি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
(সূত্র: sustainability-times/স্যাটেলাইট ইমেজারি অ্যানালিসিস বাই ব্ল্যাকস্কাই টেকনোলজিস)
সাব্বির