
আকস্মিক বন্যায় নাইজিরিয়ায় ৫০টিরও বেশি বাড়ি ভেসে গেছে
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজিরিয়ার নাইজার রাজ্যে ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক কর্মী এ তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতের ভারি বৃষ্টি ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যায় শুক্রবার পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। খবর ইয়াহু নিউজের।
নাইজারের জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম হুসেইনি জানান, তাদের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যের দুটি এলাকার তিন হাজারের মতো ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ। রয়টার্স বলছে, এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বর্ষাকালে নাইজিরিয়ায় প্রায়ই বন্যা দেখা যায়।
অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল-বিল ও জলপথের ওপর ঘরবাড়ি নির্মাণ এবং নর্দমায় আবর্জনা ফেলার কারণে আফ্রিকার এ দেশটি ঘন ঘন বন্যার কবলে পড়ে বলে ধারণা করা হয়। নাইজিরিয়ার আবহাওয়া বিভাগ (নাইমেট) এর আগে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে দেশের ৩৬টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত ১৫টি রাজ্যে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে গত বছরের বন্যায় দেশটি এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু দেখেছে। বাস্তুচ্যুতও হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ। নাইজিরিয়ায় ২০২২ সালের বন্যায় ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন প্রায় ১৪ লাখ মানুষ, ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি।