
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, গলার ক্যান্সার বা থ্রোট ক্যান্সার প্রতি বছর বিশ্বের লাখো মানুষের মধ্যে শনাক্ত হয়। বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে এর ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো শনাক্ত না হলে এই রোগ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখা দিলেও, অনেকেই তা অবহেলা করেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গলার ক্যান্সারের সম্ভাব্য উপসর্গগুলো হলো:
১ গলার স্বরে পরিবর্তন:
হঠাৎ কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া বা দীর্ঘদিন ধরে গলার স্বরে পরিবর্তন টানা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তা হতে পারে গলার ক্যান্সারের ইঙ্গিত।
২. গিলতে কষ্ট হওয়া (Dysphagia):
খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া, বা গলার মধ্যে ব্যথা অনুভব করে খাবার আটকে যাওয়ার মতো অনুভূতি, এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সতর্ক সংকেত।
৩. গলার মধ্যে চাকা বা গাঁট:
গলার ভেতরে বা বাইরের অংশে নতুনভাবে কোনো চাকা বা গাঁট তৈরি হলে এবং তা দ্রুত বড় হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. একতরফা কানে ব্যথা:
কানে কোনো ইনফেকশন না থাকলেও, এক পাশে ধারাবাহিক ব্যথা অনুভব করাও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৫. দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা রক্ত ওঠা:
শুকনো কাশি দীর্ঘসময় ধরে থাকলে কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত এলে তা উদ্বেগজনক বিষয় হতে পারে।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট:
গলার ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে শ্বাসনালীর সংকোচন ঘটিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৭. অকারণে ওজন হ্রাস:
হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ্য বা দুর্বলতা দেখা দেওয়া হতে পারে শরীরের ভেতরে ক্যান্সারের প্রভাব।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপরের যেকোনো একটি উপসর্গ যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তবে অবহেলা না করে দ্রুত একজন ইএনটি (ENT) বা অনকোলজিস্ট (Oncologist) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, পানের অভ্যাস এবং এইচপিভি (HPV) ভাইরাস সংক্রমণ গলার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছামিয়া