তরমুজ, পেঁপে, ও ডালিমের মতো ফলগুলো প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করতে পারে, যা লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মানসিক চাপ এবং দূষণের মতো কিছু কারণে শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্স সিস্টেম overwhelmed হতে পারে, বিশেষ করে লিভার এবং কিডনির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ক্ষেত্রে। এই অঙ্গগুলো শরীরের রক্ত পরিস্কার, বিশুদ্ধকরণ এবং ডিটক্সিফিকেশন নিয়মিতভাবে করে থাকে। এই অঙ্গগুলোর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবার, বিশেষ করে ফল, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লিভার এবং কিডনির ডিটক্সিফাই করার জন্য পরিচিত ৪টি ফলের নাম দেওয়া হল:
১. ডালিম
ডালিমের উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কন্টেন্ট, বিশেষ করে পিউনিকালাগিন, প্রদাহ কমাতে এবং কিডনি স্টোনের সৃষ্টি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই ফলটি ডায়ালিসিস চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে টক্সিন কমাতে আশাপ্রদ ফলাফল দেখিয়েছে।
২. পেঁপে
পেঁপে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্যকারী পাপাইন এনজাইমে সমৃদ্ধ, যা লিভারের মেটাবলিক বোঝা কমাতে সাহায্য করে। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি তে ভরপুর, যা ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে অপরিহার্য।
৩. ক্র্যানবেরি
ক্র্যানবেরি, যা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের জন্য পরিচিত, কিডনির স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করে। ক্র্যানবেরির প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিনস ইউরিনারি ট্র্যাক্টের লাইনারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আঠালো হওয়া প্রতিরোধ করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বাড়ে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ক্র্যানবেরি খাওয়ার ফলে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের অগ্রগতি কমতে পারে।
এছাড়াও, ক্র্যানবেরি ফলের মধ্যে থাকা পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস লিভারকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে, মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে।
৪. তরমুজ
গ্রীষ্মকালের একটি তাজা ফল হিসেবে তরমুজ শুধুমাত্র রিফ্রেশিং নয়, এটি একটি হালকা ডাইরেটিক হিসেবেও কাজ করে, যা কিডনিকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। তরমুজের মধ্যে সিট্রুলিন নামে একটি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং অ্যামোনিয়া স্তর কমাতে সাহায্য করে, যা লিভার এবং কিডনির জন্য উপকারী।
রাজু
