ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা জীববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৩ মার্চ ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা জীববিজ্ঞান

Taslima Afroz Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01717-293619 e-mail: [email protected] তৃতীয় অধ্যায়: কোষ বিভাজন সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা জীবন পাঠ এবং জীবকোষ ও টিস্যু এই দুটি অধ্যায় সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা: কোষ, কোষ বিভাজন, কোষ বিভাজনের প্রকারভেদের মধ্যে অ্যামাইটোসিস কোষ (ঈবষষ): কোষ হলো জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত মৌলিক একক যা পূর্বতন কোষ থেকে সৃষ্ট। এই কোষের ভেতরই জীবের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জৈবিক কার্যকলাপ সম্পন্ন হয়। ইংরেজি বিজ্ঞানী জড়নবৎঃ ঐড়ড়শব, ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে উদ্ভিদের কোষ আবিষ্কার করেন এবং এর নামকরণ করেন ঈবষষ. এই কোষকে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেন। যেমন- ১. জীবের মৌলিক এককে কোষ বলে (ঔবধহ ইৎধপযবঃ, ১৯৬১) । ২. বৈষম্য ভেদ্য পর্দা দিয়ে আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ব্যতিরেকেই নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে সক্ষম তাকে কোষ বলে (খড়বুি ্ ঝরবশবারঃু, ১৯৬৯) । ৩. কোষ জৈবিক গঠন ও কার্যের একক এবং ন্যূনতম জৈবিক একক যা নিজের নিয়ন্ত্রণ ও প্রজননে সক্ষম ঈ.চ. ঐরপশসধহ, ১৯৭০) । প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে গঠিত। একটি মাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি একটি স্বাভাবিক অতি গুরুহত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো জীবের দেহ একটি মাত্র কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় এককোষী (ঁহরপবষষঁষধৎ) জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমোডিয়াম প্রভৃতি। এসব জীবকোষ বিভাজনের মাধ্যামেই একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীব উৎপন্ন করে। আবার অনেক জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় বহুকোষী (সঁষঃরপবষষঁষধৎ) জীব। মানুষ, আম গাছ, বট গাছ ইত্যাদি জীব কোটি কোটি কোষ দিয়ে গঠিত। বিশালদেহি একটি বটগাছের সূচনাও ঘটে একটি মাত্র কোষ (জাইগোট বা নিষিক্ত ডিম্বাণু) থেকে। কোষ বিভাজন (ঈবষষ উরারংরড়হ): মাতৃকোষ থেকে অপত্য কোষ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে কোষ বিভাজন বলে। বিভাজনের সময় প্রতিটি কোষ বংশগতির বস্তুর অনুরূপ প্রতিলিপি গঠন করে। ফলে অপত্য কোষগুলো মাতৃকোষের অনুরূপ হয়। এককোষী নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় এক সময় কাটি কোটি কোষের একটি পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। আবার কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়ে নতুন প্রজন্মের জন্ম হয়। জীবের বৃদ্ধি ও প্রজননের উদ্দেশ্যে কোষ বিভাজনের (পবষষ ফরারংরড়হ) মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে থাকে। এককোষী জীব থেকে শুরু করে বহুকোষী জীব পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই নারা ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়। এগুলোর কোনোটি দেহবৃদ্ধি ঘটায়, কোনাটি জননকোষ সৃষ্টি করে, আবার কোনোটি দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই বিভিন্ন ধরনের কোষবিভাজন কীভাবে হযে থাকে তা কোষ বিভাজনের প্রকারভেদের মাধ্যমে জনা যাবে। কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ (ঞুঢ়বং ড়ভ পবষষ ফরারংরড়হ) জীবদেহে তিন প্রকার কোষ বিভাজন দেখা যায়, যথা-১। অ্যামাইটোসিস (অসরঃড়ংরং) ২। মাইটোসিস (গরঃড়ংরং) ৩। মিয়োসিস (গবরড়ংরং)
×