ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকের শেয়ার কেনার ঘোষণার পরও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ১৯ মার্চ ২০২০

ব্যাংকের শেয়ার কেনার ঘোষণার পরও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভয়াবহ ধসের কবলে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণাও ধস ঠেকাতে পারছে না। দিনটিতে প্রধান শেয়ারবাজারে মোট ৯৪ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে। এই পতনের কবলে পড়ে শেষ ১০ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৮৬৩ পয়েন্টই নেই হয়ে গেছে। অর্থাৎ দিনটিতে গত সাত বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে ডিএসইর সূচক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপে বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ব শেয়ারবাজারে ধস চলছে। যার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও। বুধবারে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে। যদিও সকাল থেকেই একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়া সংস্থাটির পক্ষ থেকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা বাড়ছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এতে শেয়ারবাজারেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য প্রকাশ পেলে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এর প্রভাবে ৯ মার্চ শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স একদিনে রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর একে একে আট দিন চলে গেলেও বড় ধসের কবল থেকে বেরোতে পারেনি শেয়ারবাজার। শেয়ারবাজরে একের পর এক বড় ধস নামায় ১৬ মার্চ ব্যাংক মালিক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে ব্যাংকগুলো বুধবার থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তবে এ ঘোষণাও শেয়ারবাজারের ধস ঠেকাতে পারেনি। অবশ্য দিনের লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। মাত্র ৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এই উত্থান প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা পার না হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দর পতন হতে থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৬৮ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৬০৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২০৩ পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৩৯ পয়েন্ট কমে ৮৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেয়া মাত্র ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩৩টির। আর ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পতনের এই বাজারে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৪২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২১টির এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
×