ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইডকলের সহায়তায় উপকূলে সৌরবিদ্যুত

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইডকলের সহায়তায় উপকূলে সৌরবিদ্যুত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সহায়তায় উপকূলীয় জেলাগুলোই সৌরবিদ্যুত প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে দরিদ্র মানুষ কেরোসিন বাতির পরিবর্তে সৌরবিদ্যুতের আলোর সুবিধা পাচ্ছেন। বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর কর্মসূচী। ইডকলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন-আরএসএফ’ গত ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৮-১৯ এই তিন অর্থবছরে শুধু পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ২ হাজার ২০৩টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য প্রতিটি গ্রামে শহরের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা। এ লক্ষ্যে আমার গ্রাম আমার শহর দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ইডকল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় সরকার সৌরবিদ্যুত সরবরাহ কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো ইডকলের সহায়তায় সৌর প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ছাড়াও বিভিন্ন অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। কেরোসিনের বাতির পরিবর্তে দরিদ্র লোকজন ব্যবহার করছেন সৌরবিদ্যুত। ইডকল সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর/কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় অংশীজন সংস্থাগুলো নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পটিকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলায় ১৭৩৭টি পরিবার, ২১৬ মসজিদ ও মন্দির, ৪৬টি স্কুল ও কলেজ এবং ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী অফিস ও প্রতিষ্ঠানে ১২টি এসি ও ১১টি ডিসি হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ‘সোলার স্ট্রিটলাইট’ বা সৌর সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে মোট ৫৪৩টি। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেড় লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
×