ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পিপিপির মাধ্যমে মংলা বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

পিপিপির মাধ্যমে মংলা বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে মংলা বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পরিচালিত হবে। বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হবে দুটি নতুন অত্যাধুনিক জেটি। কনটেইনার টার্মিনালানসহ পুরনো স্থাপনাগুলো আধুনিকায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সিকদার গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান পাওয়ার প্যাক পোর্টস লিমিটেড ও সাইফ পোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেড। এ উপলক্ষে সোমবার রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে প্রতিষ্ঠান দুটি’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পাওয়ার প্যাক পোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার ও সাইফ পোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল কামাল সিদ্দিকী, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান প্রমুখ, পাওয়ার প্যাকের সিইও সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন, সাইফ পোর্টের সিইও মেজর (অব) সিরাজুস সালেকিন প্রমুখ। উদ্যোক্তরা জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এটি প্রথম পিপিপি প্রকল্প। ইতোমধ্যে মংলা বন্দরের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর প্রতিষ্ঠান দুটি আগামী ৩০ বছর তা পরিচালনার সুবিধা পাবে। এর আগে ২০১৬ সালে মংলা বন্দরের অসম্পূর্ণ ৩ ও ৪ নম্বর জেটি নির্মাণের কাজ পায় পাওয়ার প্যাক পোর্টস লিমিটেড। সেই কাজে সাইফ পোর্ট হোল্ডিংসকে যুক্ত করে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। বর্তমানে মংলা বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের আধুনিক কোন সুযোগ সুবিধা নেই। অনেকটা সনাতন পদ্ধতিতেই এই কাজ পরিচালিত হচ্ছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ বলেন, এই অবস্থায়ও মংলা বন্দর এখন লাভজনক। উন্নয়ন কাজগুলো পুরোপুরি সম্পন্ন হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং এর কাজ পরিচালনার পাশাপাশি আরও সহজ এবং লাভজনক হবে। একই সঙ্গে পদ্মা সেতু চালু হলে যোগযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে এবং বন্দর ব্যবহার অনেক বেড়ে যাবে। ফলে বন্দর ব্যবহার বর্তমানের চেয়ে অনেক সাশ্র্রয়ী হবে। আমরা আশা করছি মংলা বন্দরের সংস্কার ও উন্নয়ন পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই করা যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কাজ করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। দেশের অবকাঠামো এবং বন্দর উন্নয়নে বিদেশীদের বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীন, সিঙ্গাপুর, আরব-আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা নৌপরিবহন দফতরে আসছেন। অনুষ্ঠানে পাওয়ার প্যাক পোর্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শিকদার গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে। সাইফ পোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, এই প্রথম কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে। এতে বেসরকারী উদ্যেক্তা হিসেবে আমরা ভীষণ গর্বিত।
×