ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ার শেয়ার বাজার টালমাটাল

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

এশিয়ার শেয়ার বাজার টালমাটাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রেকর্ড পরিমাণ দরপতনের পর মার্কিন শেয়ারবাজার কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও দরপতন অব্যাহত রয়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারে। ধারাবাহিকভাবে কমেছে টোকিওর নিক্কেই, হংকংয়ের হ্যাং স্যাং আর নাসডাক সূচক। যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার বাড়ানোর পর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এশিয়ার বৃহত্তম শেয়ারবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চীনের শেয়ারবাজার। কম হলেও দরপতন অব্যাহত ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারেও। এশিয়ার শেয়ারবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। ওয়ালস্ট্রিট শেয়ারবাজারে ২০১১ সালের পর সূচকের সবচেয়ে বড় দরপতন হয় এই সপ্তাহে। কোটি কোটি ডলারের ক্ষতি হয় এ দরপতনে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ওয়ালস্ট্রিট শেয়ারবাজারে ধসের প্রভাব পড়ে পুরো বিশ্বের শেয়ারবাজারে। আমেরিকা-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ইরানের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির দিন এগিয়ে আসার কারণে অনিশ্চয়তার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে বিশ্ব বাজারও। ঘরে-বাইরে এমন হাজারও সমস্যার জেরে শুক্রবার সাত মাসের মধ্যে সব থেকে নিচে নেমে আসে সেনসেক্স। এ সপ্তাহে নিট হিসেবে তা খুইয়েছে ৯৬৬.৩২ পয়েন্ট। নিফ্?টি ২৭৩.৫৫ অঙ্ক। শুক্রবার পতনের পরে সেনসেক্স দাঁড়িয়েছে ৩৩,৩৪৯.৩১ অঙ্কে। নিফ্?টি থিতু হয়েছে ১০,০৩০.০০ পয়েন্টে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝেমধ্যে মাথা তুললেও আপাতত জোরালোভাবে ভারতের শেয়ার বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম। বিএনকে ক্যাপিটাল মার্কেটসের এমডি অজিত খন্ডেলওয়াল বলেন, ‘বাজার চাঙ্গা হওয়ার কোনও কারণ চোখে পড়ছে না। বরং দেশে-বিদেশে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি তাকে আরও টেনে নামাতে পারে। নিফ্?টি খোয়াতে পারে আরও প্রায় চার শ’ পয়েন্ট।’ স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ এবং ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিকের বক্তব্য, সব থেকে বড় অনিশ্চয়তা সম্ভবত আমেরিকা-চীনের শুল্ক যুদ্ধ এবং ৪ নবেম্বর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার হুমকি। যার বিরূপ প্রভাব বিশ্ব বাজারে স্পষ্ট।
×