ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

লুব-রেফের হিসাব মান লঙ্ঘন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১২ মার্চ ২০১৮

লুব-রেফের হিসাব  মান লঙ্ঘন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিএনও ব্র্যান্ডের লুব-রেফ বাংলাদেশের রেড হেরিং প্রসপেক্টাসে বাংলাদেশ হিসাব মান (বিএএস) লঙ্ঘন করে আর্থিক হিসাব তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শ্রম আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। আর এই অনিয়ম ও ভুলে জর্জরিত আর্থিক হিসাবই রোড শো’তে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিএএস-১২ অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নজনিত বর্ধিত (সারপ্লাস) সম্পদের ওপরে ডেফার্ড টেক্স গণনা করতে হয়। কিন্তু লুব-রেফ কর্তৃপক্ষ তা করেনি। যাতে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে। এর আগে আমান ফিড কর্তৃপক্ষ ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার জমি রিভ্যালুয়েশন সারপ্লাসের ওপরে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ডেফার্ড টেক্স চার্জ করতে দেখা গেছে। শ্রম আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক হলেও লুব-রেফ কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জন্য কোন ফান্ড গঠন করে না। এছাড়া ভবিষ্যতেও এ ধরনের ফান্ড গঠন করবে না বলে জানিয়েছে। হিসাববিদদের মতে, বিএএস-৩৬ অনুযায়ী যেকোন প্রতিষ্ঠানের ইমপেয়ারম্যান্ট লস হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোম্পানিগুলো তা না করে সম্পদ ও মুনাফা বেশি দেখায়। এক্ষেত্রে লুব-রেফও এর ব্যতিক্রম না। কোম্পানিটিও সম্পদ এবং মুনাফা বেশি দেখিয়ে আসছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্পোরেট গবর্নেন্স ফাইন্যান্সিয়াল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যেকোন কোম্পানির ক্ষেত্রে ইমপেয়ারম্যান্ট লস হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোম্পানিগুলো গতানুগতিকভাবে তা না করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়ে থাকে। এ বিষয়ে জানতে লুব-রেফের সচিব নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং লিখিতভাবে জানানো হয়। এরপরে তার সঙ্গে একই বিষয়ে আরও ৫-৭ দিন যোগাযোগ করা হয়। প্রতিবারই জানাবেন বা ব্যাখ্যা দেবেন বললেও গত আড়াই মাসে দেননি। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে লুব-রেফ কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে ১৪৪ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়। এর মধ্যে ৯৮ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বাকি ৪৬ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা হবে।
×