ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে জাপানী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে জাপানী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে জাপানী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। রবিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসিও ইজুমি সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ পরামর্শ দেন। শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাপানের হোন্ডা কোম্পানি ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে মোটরসাইকেল উৎপাদনের কারখানা স্থাপনে কাজ শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মোটরগাড়ি উৎপাদন শিল্পেও জাপান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। এ সময় শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বিসিআইসির চেয়ারম্যান শাহ মো. আমিনুল হকসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাপানী রাষ্ট্রদূত ও শিল্পমন্ত্রীর সাক্ষাতকালে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের শিল্প খাতে জাপানী বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, জাপানি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জাপান বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষা, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এছাড়া বাংলাদেশে সোলার গ্লাস উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে ও মালয়েশিয়ায় জাপানী বিনিয়োগে স্থাপিত ও বর্তমানে বন্ধ থাকা সনি কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য জাপানী রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিল্পমন্ত্রী। আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের জনবলের কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে জাপানের উদ্যোগে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের মানোন্নয়নে একটি শিল্প পার্ক স্থাপনের সুযোগ আছে। জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতি সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। যৌথ বিনিয়োগে হোন্ডা মোটরসাইকেল উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণের পর বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রতি জাপানী উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ বেড়েছে। এ সময় তিনি শিল্পায়নের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। তাই বাংলাদেশে মোটরযান উৎপাদন, জনবলের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দেন জাপানী রাষ্ট্রদূত।
×