ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ট্যানারি শিল্পে ক্ষতি দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

ট্যানারি শিল্পে ক্ষতি দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়ায় বন্ধ রয়েছে হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলো। এতে গত ১৫ দিনে এ খাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা। চামড়া শিল্প রক্ষা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একদিকে হাজারীবাগে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিছিন্ন করেছে। কিন্তু সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে ১৫৫টি ট্যানারির অনুমোদন দিলেও সেখানে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে মাত্র নয়টিতে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চামড়া শিল্প। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, গত ১৫ দিনে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। রফতানিতে ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ১১ কোটি টাকা। এছাড়াও চামড়া শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা। এদিকে, গত ৯ এপ্রিল এক নির্দেশে আদালত পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে সাভারের ট্যানারি শিল্প এলাকার সব কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেয়ার নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার ছিল আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের শেষ দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে নয়টি কারখানায়। এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে অবিলম্বে সব কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগসহ নয় দফা দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে আছি। প্রয়োজনে আদালতে যাব।’ তাদের দাবিগুলো হলো- ২০০৩ সালের সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী শিল্পনগরীর প্লটের মালিকানা দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা, শিল্পনগরীতে আন্তর্জাতিক মানের সিইটিপি, ক্রোম রিকভারি ইউনিট ও ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ নিশ্চিতকরণ, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের আবাসন, সেক্টর সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বরাদ্দসহ প্লট না পাওয়া উদ্যোক্তাদের প্লট দেয়া, বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মালিকদের সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন অর্থ বরাদ্দ, কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় যেসব রফতানি আদেশ বাতিল হবে এবং ক্রেতাদের দাবি করা ক্ষতিপূরণের অর্থ সরকার কর্তৃক পরিশোধ, বিসিকের অব্যবস্থাপনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের বিদ্যমান ঋণ ব্লক ও সুদ মওকুফ করা। এছাড়া হাজারীবাগের জমিতে ডিজাইন প্ল্যান পাসের ওপর রাজউকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, ট্যানা‌রি ওয়ার্কাস ইউনিরয়নের সভাপ‌তি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
×