অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জৈব খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে জৈব খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী এ খাতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি সহযোগিতা দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে ‘অর্গানিক ফুড: নিউ ইরা অব এগ্রি-বিজনেস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সেমিনারের আয়োজন করে এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব এগ্রিকালচার সেক্টর।
কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের লক্ষ্য। এর জন্য অর্গানিক খাদ্যের গুরুত্ব অনেক। তাই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে সরকার।
তিনি বলেন, আগে অর্গানিক অর্থাৎ জৈব খাদ্যের অনেক ব্যবহার ছিল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা কৃত্রিমতাকে গ্রহণ করছি। এখন নিরাপদ খাদ্যের জন্য আবারও আমাদের জৈব খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তবে কোনোভাবেই উৎপাদন কমানো যাবে না। সেদিকেও নজর বাড়াতে হবে।
ভেজাল বিরোধী অভিযানের কথা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ফুড সেফটি অথরিটির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে খুব শিগগির ভেজাল বিরোধী অভিযানে নামবো। ছোট-খাটো দোকান পর্যায়ে নয়; এবার উৎপাদন পর্যায়েও অভিযান পরিচালিত হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ফুড সেফটি অথরিটির ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অর্গানিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্যের মূল্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানো।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপার সভপতি এ.এফ.এম. ফখরুল ইসলাম মুন্সি, এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পরিচালক ও সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি জসিমউদ্দিন প্রমুখ।
স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব এগ্রিকালচার সেক্টরের চেয়ারম্যান ইসহাকুল হোসেন সুইটের সঞ্চালনায় এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এগ্রো-প্রেসেসর্স এসোসিয়েশনের (বাপা) উপদেষ্টা প্রফেসর মোসলেম আলী।
