ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৯ মার্চ ২০১৭

সাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই বছর স্বস্তিতে কাটলেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ?্য বাণিজে?্য ঘাটতি বাড়ছে বাংলাদেশের। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫২৮ কোটি ২০ লাখ (৫.২৮ বিলিয়ন) ডলার। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার বা ৩৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে এই সময়ে বিভিন্ন পণ্য রফতানি থেকে বাংলাদেশ এক হাজার ৯৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। এ হিসাবে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সামগ্রিক পণ?্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে ৫২৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। পরিসংখ্যান মতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ৩৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর পুরো অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। তার আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৬৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১২ সালে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) জ্বালানি তেলের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১৫ ডলার। দফায় দফায় কমে এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে তা ৩০ ডলারে নেমে আসে। চলতি সপ্তাহে এ মূল্য ৫৫ থেকে ৫৮ ডলারে ওঠানামা করছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে জ্বালানি তেল আমদানিতে বাংলাদেশের ব্যয় বেড়েছে ১০ শতাংশের মতো। এছাড়া খাদ্যপণ্য আমদানিতে খরচ বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। মূলধনী যন্ত্রপাতিতে (ক্যাপিটাল মেশিনারিজ) বেড়েছে ৩ শতাংশ। ফলে ঘাটতি বেড়েছে সেবা খাতেও। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে ১৯৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার হয়েছে। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য পরিমাপ করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক জায়েদ বখত বলেন, বেশ কিছুদিন জ্বালানি তেলের দাম কম ছিল। সে কারণে এ খাতে বাংলাদেশের খরচ তখন কম হয়েছে। খাদ্যপণ্যের দামও কম ছিল। সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্বাহী পরিচালক অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কর্মরত মহাব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১ এর ০৭/০৩/২০১৭ তারিখের কর্মচারী নির্দেশ নং-এইচআরডি-১:১৩১/২০১৭ মোতাবেক নির্বাহী পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক তাকে সিলেট অফিসে বহাল করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে যোগদান করেন। দীর্ঘ প্রায় ২৯ বছরের চাকরি জীবনে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, এক্সপেন্ডিচার ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ইইএফ ইউনিট ও রংপুর অফিসে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
×