অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠন করা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই নিয়ে ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুইয়ে। বাকি মামলাগুলো উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ও নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলাটি রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত থেকে এই ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে ১৯৯৯ সালে শেয়ার নিয়ে কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিটিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেন মামলা দায়ের করেন। সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশ এর ২৫ ধারা অনুযায়ী এ মামলা করা হয়। মামলাটির আসামিরা হলেন মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলুকতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। মামলাটির বিচারকার্য শুরু করার জন্য আগামী ২৮ নবেম্বর দিন ধার্য করেছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এদিন চার্জ গঠন করা নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, ‘সিএমএম আদালত থেকে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলাটি শেয়ারবাজার-বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে।
মামলাটিতে সাক্ষী হিসাবে রয়েছেন বিএসইসির তৎকালীন উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেনসহ ৬ কর্মকর্তা। অন্যরা হলেন- নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার উল কবির ভূইয়া, পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, উপ-পরিচালক এটিএম তারেকুজ্জামান, শুভ্রকান্তি চৌধুরী ও সৈয়দ শফিকুল হোসেন।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে ২৪টি মামলা ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে ৬টি মামলার রায় হয়েছে। বিচারিক ক্ষমতা না থাকায় ২টি মামলা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ১৬টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। সাক্ষীদের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারেকুজ্জামান দেশের বাইরে রয়েছেন এবং আনোয়ারুল কবির ভুইয়া চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া শুভ্রকান্তি চৌধুরী সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মকর্তা রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মোট ৫৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জেনারেল সার্টিফিকেট কোর্টে ২৫৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: