ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৬ মে ২০১৬

পুঁজিবাজারে ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার মূল্য সূচকের বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় ৬৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে ৩৭৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কম। মঙ্গলবার এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩৯২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহ দরে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ছিল। মঙ্গলবারে লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও শেষ মুহূর্তে আর সেই প্রবণতা অব্যাহত থাকেনি। মূলত বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতার কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের মতে, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির শেয়ার দর। এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৬৯৩ পয়েন্টে। বুধবারে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনের দিনের খাতভিত্তিক লেনদেনে এগিয়ে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। দিনটিতে কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ২৩ ভাগ। এরপরই রয়েছে প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫০ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৩ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো: শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা বিডি, ডরিন পাওয়ার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস ও বিএসআরএম লিমিটেড। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, জাহিন টেক্সটাইল, আইসিবি ১ম এনআরবি, ফ্যামিলি টেক্স, তসরিফা ইন্ড্রাস্টিজ, এটলাস বাংলাদেশ, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল ও এ্যাপেক্স স্পিনিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মবিল যমুনা বিডি, মডার্ন ডাইং, রহিমা ফুড, বিজিআইসি, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, যমুনা ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৪৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডরিন পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, মবিল যমুনা বিডি, ফ্যামিলি টেক্স, কেডিএস এক্সেসরিজ, অলিম্পিক এক্সেসরিজ ও বিএসআরএম লিমিটেড।
×