ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ মাসে বৈদেশিক লেনদেনে ১০৬ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত

জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমায় আমদানি ব্যয় কমছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমায় আমদানি ব্যয় কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমায় বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় কমেছে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) বড় উদ্বৃত্ত ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল প্রায় অর্ধেক, ৫৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। চলতি হিসাবের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্টে ১৬৫ কোটি ডলারের বড় ঘাটতি (ঋণাত্মক) নিয়ে শেষ হয়েছিল গত অর্থবছর। তবে নতুন অর্থবছরের শুরুতেই উদ্বৃত্তে ফেরে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই-নবেম্বর সময়ে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের পুরো সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) মোট এক হাজার ৫৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে বাংলাদেশ। আর পণ্য রফতানি থেকে (এফওবিভিত্তিক, ইপিজেডসহ) আয় হয়েছে এক হাজার ২৫৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে এ খাতের ঘাটতি ছিল ১৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে ১২৩ কোটি ৬০০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমায় বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে রফতানি আয়। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সও বাড়ছে। এ কারণেই ‘স্বস্তিদায়ক’ এই উদ্বৃত্তি। নিয়মিত আমদানি-রফতানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় চলতি হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। এই হিসাব উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো, নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোন ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানি খাতে ব্যয় কমেছে ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
×