ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ৫ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে ৫ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দুই বাজারেই সব ধরনের সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা প্রায় গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে গত বছরের ১০ আগস্ট ডিএসইতে ৬৬০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এই হিসাবে লেনদেন গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। মঙ্গলবারে উভয় বাজারেই বড় ও মাঝারি মূলধনের কোম্পানিগুলোর দর ও চাহিদা বেড়েছে। এর বিপরীতে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর চাহিদা কিছুটা কমেছে। বস্ত্র, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জ্বালানি এবং শক্তি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানিরই দিনটিতে দর বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন বছরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্যাংকের সুদের হার কমানো, বাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের মুলধন বিনিয়োগের হিসেবে বাইরে রাখা এবং ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর ঘোষণার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ছোট বড় ও প্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে লেনদেনও বাড়ছে। ফলে নতুন বছরটি পুুঁজিবাজারে জন্য ইতিবাচক ভাবছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই সবাই আস্তে আস্তে বাজারের দিকে মনোযোগী হচ্ছেন এরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামীতেও এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৬০৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এই হিসাবে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৭ কোটি টাকার বা ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৯টির, কমেছে ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১২৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, এমারেল্ড অয়েল, ইফাদ অটোস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, কেডিএস এক্সেসরিজ, বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম, সামিট পাওয়ার এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- আরএন স্পিনিং, সিমটেক্স, মেঘনা পেট, জনতা ইন্স্যুরেন্স, ঝিল বাংলা, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ডাইং, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও ফু-ওয়াং সিরামিক। এদিকে ঢাকার বাজারে লেনদেন ও সূচকে বড় ধরনের অগ্রগতির দিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯টির, কমেছে ৬৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো, সামিট পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল, ইফাদ অটোস, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
×