ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক দরিদ্রের ক্ষমতায়নের নিবেদিত কারখানা ॥ গবর্নর

প্রকাশিত: ০০:১৮, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

ব্যাংক দরিদ্রের ক্ষমতায়নের নিবেদিত কারখানা ॥ গবর্নর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ব্যাংক শুধু উচ্চ বিত্তের ধনাগার নয়, দরিদ্রের ক্ষমতায়নের নিবেদিত কারখানা। মানুষ হচ্ছে তার আর্থিক উন্নীতর সহযোগী বন্ধু। বুধবার সকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ‘ব্যাংকিং মেলা বাংলাদেশ-২০১৫’ উদ্বোধন ও প্রথান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গবর্নর বলেন, আমাদের পরিশ্রমের লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিদিনি বিভিন্ন সেবা ও দ্রব্যের যোগান পৌছে দিতে চাই মানুষের দ্বারে। মেলার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো একে অন্যের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারবে। তিনি বলেন, একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই। সদিচ্ছার সঙ্গে ভূল ত্রুটি থেকে শিক্ষা গ্রহনের মানসিকা থাকতে হবে। অর্থ পরিধি সমাজের সবার মধ্যে বিস্তৃত না হলে প্রবৃদ্ধি টেকসই হয় না। এজন্য দরিদ্র, নারী, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, পথ শিশু ও পোশাক শিল্পের কর্মী বা অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। আতিউর রহমান বলেন, টেকসই প্রবৃদ্ধি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতি বা অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। তাই আসুন আমরা মানবিক ব্যাংকিংয়ের প্রতিশ্রুতি গ্রহন করি। ব্যাংককর্মীদৈর নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের পারিবারিক সদস্যের মতো সম্মান করার আহবানও জানান গর্ভনর। সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি গর্ভনর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বলেন, আধুনিক ব্যাংকিং সেবার মূল উপাদান জনগণের সামনে তুলে ধরাই মেলার উদ্দেশ্যে। এই সেবা পাওয়ার অধিকার সর্ম্পকে মানুষকে জানাতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কৌশর বাস্তবায়ন করতে আর্থিকখাত সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে ব্রতী হয়েছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্যাংকিংখাত ডিজিটাইজড হবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বলেন, বীমা সংক্রান্ত জনসচেতনার অনেক ঘাটতি রয়েছে। সে বিষয়েও মেলা করা প্রয়োজন। ২০৪১সালের মধ্যে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত জাতি গড়ার লক্ষ্যে আর্থিক বাজার ও সেবা বিভাগকে শক্তিশালী কাঠামোও দাড় করতে কাজ যাচ্ছে সরকার। ব্যাংকের পণ্য ও সেবার ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। ইন্টারনেট ও কার্ড ব্যাংকিংয়ের তেমন উন্নতি হয়নি। এজন্য ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে যেসব সীমাবদ্ধতা আছে তা যৌথভাবেই অতিক্রম করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেছেন, ব্যাংকিং সেক্টরে দুষ্ট চক্র কাজ করছে, অনিয়ম রয়েছে, রয়েছে গরমিল এ দুষ্ট চক্রকে ভাঙ্গতে হবে। এ চক্র রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
×