
হযরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার দরবার শরীফ
হযরত শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ১৩০০ সালের আশেপাশে, বর্তমান পাকিস্তানের সিয়ালকোট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য তিনি তুরস্ক, মক্কা, মদিনা এবং ইরাকের মতো পবিত্র স্থানসমূহে ভ্রমণ করেছিলেন। ইসলামিক শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনা লাভের পর, তিনি সিলেট অঞ্চলে বাংলাদেশে আসেন।
হযরত শাহজালাল রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন বাংলাদেশে আসেন, তখন সিলেট ছিল একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি ১৩৩৬ সালে সিলেট অঞ্চলে প্রবেশ করেন এবং সেখানে ইসলাম প্রচার ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান শুরু করেন
সিলেট শহরটি মাজারের শহর হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠার পিছনে কিছু ইতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কারণ রয়েছে। সিলেটের মাজার সংস্কৃতি মূলত এই অঞ্চলের ইসলামিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। সিলেটে কিছু বিখ্যাত ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের মাজার রয়েছে, যারা সিলেটে ইসলামের বিস্তার ও ধর্মীয় চেতনার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলেন হজরত শাহ জালাল (রহ.) এবং হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার, যেগুলি সিলেটের প্রধান ধর্মীয় পুণ্যস্থল হিসেবে পরিচিত।
শাহ জালাল (রহ.) সিলেটে ইসলামের প্রচারক ছিলেন এবং তাঁর মাজার সিলেটের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান। তাঁকে কেন্দ্র করে সিলেটে প্রতিবছর উত্সব, তীর্থযাত্রা এবং ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা সিলেটকে মাজারের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এছাড়াও, সিলেটের বিভিন্ন এলাকার মাজারগুলোতে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মেলা হয়, যা এই শহরের মাজার সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ় করেছে। সিলেটের মাজার সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক মানুষের বিশ্বাস, যা স্থানীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জাফরান