ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে জাওয়াদের প্রভাবে অধিকাংশ পাকা ধান নষ্ট হয়েছে

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

বাউফলে জাওয়াদের প্রভাবে অধিকাংশ পাকা ধান নষ্ট হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ বাউফল উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টির কারণে উৎকন্ঠায় রয়েছেন কৃষক। জমিতে পানি জমে থাকার কারণে একদিকে যেমন আমন ধানে ন্যায্য দাম নিয়ে শংকার মধ্যে আছে কৃষক। অপর দিকে খেসাড়ি ডাল (কলই ডাল) চাষিদের খেত ডুবে যাওয়ার কারণে গাছ পচে যাচ্ছে। মৌসুমের শেষ সময়ে এসে এমন দুর্যোগে হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৩৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমান ধান চাষ করা হয়েছে। অপর দিকে খেসাড়ি ডাল প্রাথমিক হিসাব মতে চাষ করা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। সরজমিনে উপজেলার উপজেলঅর বিভিন্ন এলাকাসহ চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার খেত জুড়ে এখন সোনালী রংয়ের আমন ধানে ভরা। প্রায় ৯০ শতাংশ জমির ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু এমন সময় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না। অনেক জমির ধান নুয়ে পড়েছে। অপর দিকে খেসাড়ি ডালের খেতে পানি জমে থাকার কারনে গাছ পচে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান হিমু বলেন, ‘আমান ধান ৯০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে। উৎপাদনে আর ক্ষতি হওয়ার কোন আশংকা নাই। মূল সমস্যা হবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে। কারন খেত থেকে ধান কাটা শুরু হয়ে মাড়াই পর্যন্ত সকল স্থানে এখন পানি। এ অবস্থায় ধান ভেজা ছাড়া কোন উপায় নাই। শুকনো ধানের যে সোনালী রং থাকে ভেজা ধানে সে রং টা থাকে না। অপর দিকে ভেজা ধান চাতাল মালিকদের কাছে চাহিদা কম থাকায় বাজার দরও কম পাওয়া যায়।’ দকে যে সকল কৃষকরা খেসাড়ি ডাল চাষ করেছেন পানি কমলে তাদেরকে পূনরায় চাষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগীর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
×