ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দুরকানীতে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতুতে ল্যাম্প পোষ্ট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পারাপারকারীরা

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইন্দুরকানীতে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতুতে ল্যাম্প পোষ্ট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পারাপারকারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর ॥ উদ্ভোধনের ৯ বছরেও বলেশ্বর নদীর উপর শহীদ ফজলুল হক মনি সেতুতে ল্যাম্প পোষ্ট না থাকায় ভোগান্তির স্বীকার পথচারী ও গণপরিবহ। সন্ধ্যা হলেই ঘুটঘুটে আঁধার নেমে আসে, বেড়ে যায় পথচারীদের আতঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩ সালে গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে বলেশ্বর নদীর উপর ৩৬১৬.৪৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত দীর্ঘ ৩৫০ মিটার সেতুটি উদ্বোধন করেন। মূল ব্রীজ ছাড়াও টগড়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রায় ৬৬৩ মিটার এবং চাড়াখালী প্রান্তে ১৯৮৭ মিটার রয়েছে। বলেশ্বর নদীর ওপর এই সেতুটি নির্মিত হওয়ায় ইন্দুরকানী উপজেলার সাথে পিরোজপুর জেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় ব্যববাসায়ীদের সল্প পরিবহন খরচে সল্প সময়ের মধ্যে পন্য আদান-প্রদান করা সহজ হচ্ছে। এই সেতুটি ব্যবহার করে দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার-হাজার ব্যবসায়ীরা ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। কিন্তু ল্যাম্পপোষ্ট না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই সমস্যা হয় সেতু পারাপারে। এ ব্যপারে ইন্দুরকানী বাজারের ব্যবসায়ী আঃ আব্দুস সোহবান জানায়, বশে^র নদীর উপর ব্রিজ পার হয়ে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় বখাটে ছেলেদের উৎপাত দেখা যায়। এছাড়া ব্রিজে বাতি না থাকায় পারাপারে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় আমাদের। পথচারী রহিমা জানায়, ব্রীজের উপরে বাতি না থাকার কারণে আমাদের মেয়েদের রাতে পারাপারে সমস্যা হয়। বকাটেদের হাতে যে কোন সময় দুর্ঘটণার স্বীকার হতে পারে যে কেহ। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পিরোজপুরের প্রকৌশলী (এক্স ই এন) মাসুদ মাহমুদ সুমন জনান, বলেশ্বর নদীর উপর শহীদ শেখ ফজুলল হক মনি সেতুর উপরে ল্যাম্প পোষ্টের জন্য স্টিমেট তৈরী হচ্ছে। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফন্নেছা খানম জানান, শহীদ শেখ ফজুলল হক মনি সেতুর উপরে ল্যাম্প অতীব জরুরী। ল্যাম্প পোষ্ট না থাকার কারণে রাতের আধারে পথচারী ও যানবাহণ চলাচলে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়।
×