ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রচণ্ড গরমে পানির তীব্র সংকট

চট্টগ্রাম ওয়াসার দৈনিক উৎপাদন কমেছে ৯ কোটি লিটার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম ওয়াসার দৈনিক উৎপাদন কমেছে ৯ কোটি লিটার

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কমেছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎপাদন

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কমেছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎপাদন। ফলে পাইপলাইনে পানির চাপ কমে যাওয়ায় অনেক এলাকায় মিলছে না প্রয়োজনীয় পানি। তাই ওইসব এলাকার নাগরিকদের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।  
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জনকণ্ঠকে ফোন করে নাগরিকরা জানাচ্ছেন তাদের দুর্ভোগের কথা। কোনো কোনো এলাকায় গত তিনদিন ধরে পানির সরবরাহ অত্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে নগরীর আন্দরকিল্লা, রুমঘাটা, সাব এরিয়া, সিরাজউদ্দৌলা রোডসংলগ্ন এলাকায় পানির সংকট বেশি। তবে ওয়াসা জানিয়েছে, তারা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে। 
রুমঘাটা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গত তিনদিন ধরে তারা পানির সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। প্রচ- গরমের মধ্যে পানির সংকট মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে তারা ওয়াসার কার্যকর পদক্ষেপ চান। 
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, গরমের কারণে পানির উৎপাদন কমেছে দৈনিক প্রায় আট থেকে নয় কোটি লিটার। কারণ, কর্ণফুলীতে পানির  স্তর নেমে যাওয়ায় পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। বছরের এই সময়ে নদীতে পানি না থাকায় সাগর থেকে উঠে আসা জোয়ারে প্রচুর লবণ চলে আসে। ফলে এই সময়ে স্বাভাবিক পরিশোধন করা যায় না। তবে দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম জানান, ওয়াসা এখন তার পানি পরিশোধন ক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে পারছে না। মোহরা ও মদুনাঘাট প্রকল্পে পানি শোধন কম হচ্ছে। কর্ণফুলী থেকে পাইপলাইনে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে গরমের সময় পানি রেশনিং করা হচ্ছে। তিনি জানান, ওয়াসার পানি উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ৫০ কোটি লিটার উৎপাদন করা গেলে পানির সংকট হওয়ার কোনোই কারণ ছিল না। কিন্তু সক্ষমতা থাকলেও উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না প্রকৃতির বিরূপ আচরণের কারণে। বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও নাগরিকদের দুর্ভোগ যতটা কমিয়ে রাখা যায়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে সংকটও কেটে যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

×