ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে চলছে ২০ হাজার ॥ প্রশাসন দেখেও দেখে না

তিন লাখ অবৈধ সিএনজি অটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে

আজাদ সুলায়মান

প্রকাশিত: ২৩:২১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

তিন লাখ অবৈধ সিএনজি অটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়কে

নম্বরবিহীন এ ধরনের অবৈধ সিএনজি অটো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশব্যাপী

নেমপ্লেট নেই, রুট পারমিট নেই, চালকের লাইসেন্সও নেই। এমনকি বাণিজ্যিক চলাচলেরও অনুমতি নেই। তবুুও দাপিয়ে চলছে সড়কে। এমন   প্রায় পৌনে তিন লাখ সিএনজি চালিত থ্রি-হুইলার চলছে দেশে। সবই ঢাকার বাইরে। থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, পৌর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়েই তারা দিব্যি চলছে। কোনো ঝক্কি ঝামেলা নেই। কেউ খতিয়েও দেখে না, খোঁজও নেয় না।

সবাই  দেখছে, কেউ ধরছে না। তবে হ্যাঁ, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, কোনো ঘটনায় ধরা পড়ে, তখনই কেবল প্রকাশ হয় এটি অবৈধ। রুট পারমিট, ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ও নবায়নের বৈধতা- কোনোটাই নেই। 
প্রশ্ন তা হলে কে লাগাম টানবে তাদের? ঢাকার বাইরে সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে বিগত বিশ বছর ধরেই এগুলো চলছে বেপরোয়াভাবে।  দোর্দ- প্রতাপে এগুলো সড়কে দাপিয়ে বেড়ালেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। শুধু মালিক ও চালকের কাছ থেকে মাসোহারার ভিত্তিতে এই তিন লাখ সিএনজি থ্রি হুইলার চলছে নির্বিঘ্নে।
গত দু’মাস ধরে বৃহত্তর ঢাকা থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লাসহ বেশ ক’টি  জেলার সড়ক-মহাসড়কে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, এসব সিএনজি অটো চলাচলে পুলিশ কখনোই বাধা দেয় না। যেগুলো পুলিশের সঙ্গে বোঝা-পরামর্শ না করে সেগুলোই মাঝে মাঝে বিপাকে পড়ে। 
জানতে চাইলে বিআরটিএএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন- নিবন্ধনকৃত বৈধ সিএনজিগুলোর দেখভাল করার দায়িত্ব বিআরটিএএর। বাকিগুলোর তদারকি করে রিজিওনাল রোড ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি) অর্থাৎ জেলা প্রশাসন। সে জন্য ঢাকায় বসে সারাদেশের অবৈধ সিএনজি থ্রি হুইলারের নিয়ন্ত্রণ করার কোনো সুযোগ নেই। একমাত্র জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানা পুলিশই পারে যদি আন্তরিকভাবে ইচ্ছা করে। তার পরেও বিআরটিএ সারাদেশের সড়ক-মহাসড়কে সাধ্যমতো অভিযান চালিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এরচেয়ে বেশি কিছু করার নেই। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে বর্তমানে বিআরটিএএর নিবন্ধনকৃত সিএনজি থ্রি হুইলারের সংখ্যা হচেছ লাখ দুয়েকের মতো। আর অবৈধ হচেছ তার চেয়েও বেশি  যেটা তিন লাখের মতো। তবে বিআরটিএ স্বীকার না করলেও রাজধানী ঢাকাতে কমপক্ষে ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা দাপিয়ে  বেড়াচ্ছে।

ঢাকা মহানগরীর  বৈধ সিএনজিগুলো মিটারে না চললে শাস্তির মুখোমুখি হলেও অবৈধ এসব সিএনজি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই এর নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী একটি দালালচক্র। যে চক্রের মাধ্যমে অবৈধ সেসব সিএনজি অটোরিক্সার নগরীতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা, যানজট, চুরি, ছিনতাই ও রাহাজানি। 

জানা  গেছে, অবৈধ এসব সিএনজি অটোরিক্সা  থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করছে দালালচক্র। সিএনজি প্রতি পাঁচ  থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। বিনিময়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মামলা, জরিমানার বিষয়গুলো সমাধান করছে তারা। চক্রটির আঁতাত রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গেও। এসব গাড়ি আটক করা মাত্রই তাদের তদ্বির বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়। কখনো কখনো নিজেদের পেশাদার চালক হিসেবেও পরিচয় দেন তারা।

বিভিন্ন কৌশলে আইনি জটিলতা মোকাবিলা করার পরও ওই চক্রের সদস্যরা সিএনজি চুরির নাটক সাজিয়ে সহজ সরল চালকদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।  ওই চক্রের সদস্যদের  গোপন আঁতাত রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা  চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গেও।  কোন এলাকা  থেকে কারা সিএনজি চুরি করে  সেই তথ্যও তাদের কাছে থাকে। 
গত ৫ জানুয়ারি এমনই একটি ঘটনা ঘটে।  সেদিন ঢাকায় (ঢাকা  মেট্রো থ ১৩-৭৫৯২) নম্বরের একটি সিএনজি চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু সিএনজির চালক হান্নান গ্যারেজ পর্যন্ত  পৌঁছানোর আগেই দালাল চক্রের সদস্য ও ওই সিএনজির মালিক জাহাঙ্গীর চোরের সাথে যোগাযোগ করে সিএনজি ফেরত নিয়ে আসে। যদিও চালক হান্নানের কাছ  থেকে এই ঘটনায় জরিমানা হিসেবে ১১ হাজার টাকা আদায় করে জাহাঙ্গীর। শুধু তাই নয়- এ চক্রের সদস্যরা সরাসরি সিএনজি চুরির সঙ্গেও জড়িত। ঢাকায় দাপিয়ে  বেড়ানো ওই দালাল চক্রের একজন তফাজ্জল। যার নামে টাঙ্গাইলসহ দেশের একাধিক থানায় সিএনজি চুরির মামলা রয়েছে। 
চালক ও মালিকরা বলছেন- এ চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ হবে না। মিটারে চালিত সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ  থেকে মাসিক এক হাজার টাকা করেও চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। চালকদের বলা হচ্ছে, ঢাকায় মিটার ছাড়া গাড়ি চালানো, নো পার্কিংসহ অন্য কোনো মামলার সম্মুখীন হতে হবে না তাদের।

এক হাজার টাকা মাসোহারায় এসব ঝক্কিঝামেলা মেটানোর দায়িত্বও নিচ্ছে তারাই। এ ছাড়াও নগরীতে সিএনজির দরজা লাগানোর বিধান না থাকলেও ওই দালালচক্রের দাপটেই দরজা লাগিয়ে ভাড়ায় চলাচল করছে অবৈধ  সেসব সিএনজি। 
চালকদের সঙ্গ্ েআলাপ করে জানা গেছেÑ মেট্রোর কালার পরিবর্তন করেই ঢাকা মহানগরীতে চলছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জ  জেলার ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা। এদের দাপটে অনেকটাই কোণঠাসা ঢাকায় বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য অনুমোদিত পনেরো হাজার সিএনজি অটোরিকশার মালিক-চালকরাও। যদিও রহস্যজনক কারণে সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে  নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এ নিয়ে  ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বৈধ চালক ও শ্রমিক সংগঠনের  নেতারা। 
সরজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী থেকে গাজিপুর, কাপাসিয়া পাকুন্দিয়া  হয়ে কিশোরগঞ্জ নান্দাইল পর্যন্ত চলে  প্লেট নম্বরবিহীন সিএনজি। তারা ৮টি পয়েন্টে পুলিশকে টাকা দিয়ে চলছে। একইভাবে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ৩ চাকার যান সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সদর্পে দাপিয়ে  বেড়াচ্ছে অটোরিক্সা চালকরা। পূর্বাচল গাউছিয়া, মাধবদী বাবুরহাট সাহেপ্রতাপ, ইটাখোলা, রায়পুরা হয়ে ভৈরব পর্যন্ত মহাসড়কে এসব থ্রি  হুইলারের রামরাজত্ব।

ট্রাফিক, হাইওয়ে ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে তারা। এ ছাড়া  রেজিস্ট্রেশনবিহীন এসব সিএনজির সামনে  পেছনে  প্রেস, মিডিয়া এবং সাংবাদিক লিখে মহাসড়কে চলাচল করছে। স্টিকারে সাংবাদিক নাম,  মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে  রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজি দাপিয়ে  বেড়ায় মহাসড়কে। সিএনজি চালকদের সঙ্গে তারা মাসিক চুক্তি করেছেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন আর সাংবাদিকদের যোগসাজশে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা।

্উল্লেখ্য মহাসড়কে এ ধরনের যানবাহন চলার ওপর হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে। হাইকোর্ট ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও দেশব্যাপী মহাসড়কে চলাচল করছে নিষিদ্ধ  ঘোষিত সিএনজি। এ ছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনার  ক্ষেত্রে  বেশিরভাগ তিন চাকার অবৈধ যানবাহনকে দায়ী করে থাকেন দূরপাল্লা পরিবহনের চালকেরা। 
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পৃথক দুটি অভিযোগ করে নিবন্ধিত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান- ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের  বেশকটি  জেলার সিএনজি অটোরিক্সা ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের জন্য অনুমোদিত নয়। কমপক্ষে ২০ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা ঢাকায় চলাচল করছে শুধু দালাল চক্রের  নেতৃত্বে। যে চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বিদ্যুৎ গলির তাছলি।

চক্রের সক্রিয় সদস্য রয়েছেন বাড্ডা স্বাধীনতা সরণির জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন বাবু ও বাড্ডার বাগানবাড়ী এলাকার  তোফাজ্জাল। এ ছাড়াও ওই চক্রে রয়েছেন আনোয়ার ভা-ারী, আকাশ, শাহিন, বাড্ডার স্বপন চৌধুরী, রনি, রুবেল, বাড্ডার  গোলাম  মোয়াজ্জেম ও একই এলাকার বিল্লাল  হোসেন। চক্রের  যোগসাজশেই ঢাকার বাইরের সিএনজি অটোরিক্সায় ঢাকা  মেট্রোর রং করে দাপিয়ে  বেড়াচ্ছে মহানগরীর সড়ক। 
অবৈধভাবে চলাচল করা ২০ হাজার সিএনজি অটোরিক্সার কারণে ঢাকা মহানগরীতে প্রাণহানিসহ অসংখ্য ঘটনাও ঘটেছে। তবুও ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ  সেসব সিএনজি অটোরিক্সা উৎখাতে  নেই  কোনো উদ্যোগ। 
ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা ও মিশুক চালক ও শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন দুলাল জানান, সিএনজি অটোরিক্সা সেক্টরে যদি শৃঙ্খলা  ফেরাতে হয় তাহলে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন- এখন রাজধানীতে তিন ধরনের অবৈধ ২০ হাজার অটোরিক্সা চলছে। তার মধ্যে প্রথমত- কমপক্ষে সাদা প্রাইভেট সিএনজি রয়েছে ১৪ হাজার।

যেগুলো চালায় প্রভাবশালী নেতারা, ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টরা। দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে- রিপ্লেস হওয়া গাড়িতে ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে চলা। তৃতীয় ধরন হচ্ছে- ঢাকা জেলার আশপাশের সাবেক ইউনিয়নের নামে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া। পরে ইউনিয়নগুলো সিটি করপোরেশনের আওতায় এলেও গাড়িগুলোকে মেট্রোর নম্বরে পরিণত না করেই  অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে। 
তিনি বলেনÑ ঢাকায় সিএনজি অটোরিক্সার চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার। কিন্তু বর্তমানে চলছে মাত্র ১৪ হাজার। কাজেই প্রয়োজনের সুযোগটাই নিচ্ছে অবৈধ চালক ও মালিকরা। তাদের বৈধতা দেওয়ার জন্য আমরা অনেক দিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এ বিষয়ে বিআরটিএএর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর পাশাপাশি সড়কের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করুক। 
এসব অবৈধ গাড়িকে অবিলম্বে বিআরটিএএর আওতায় এনে নিবন্ধন করা হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ফিরবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ফেডারেশন নেতা ওসমান আলী। তিনি বলেন- এসব অবৈধ সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকদের কর্মকা-ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঢাকা মহানগরীর সাধারণ যাত্রীরা। তাছাড়া সড়ক মহাসড়কেও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এসব গাড়ি। তিনি প্রশ্ন রাখেন কিভাবে এত বিপুল সংখ্যক অবৈধ গাড়ি একটা দেশে থাকতে পারে। এটা কি মগের মুল্লুক? কি করছে প্রশাসন। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন-  রেগুলেটর বডি হিসেবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচিছ। কিন্তু দেশব্যাপী সড়ক মহাসড়কে অবৈধ  সিএনজি থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন চলছে কিনা, সেটা দেখার ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আইন প্রযোগকারী সংস্থার।  জেলা প্রশাসন চাইলে এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা সব সময়েই তাাদের কাছে এ বিষয়ে সহায়তা চাই। 
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান এডিশনাল আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সারাদেশে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার কিলোমিটার হাইওয়ে পুলিশের আওতাভুক্ত। তারপরেও সক্ষমতার  ঘাটতি থাকায় থ্রি হুইলার এই সড়কে উঠে পড়ে। ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা চট্রগ্রাম যাবার সময় মহাসড়কে তা চোখে পড়ে। দুর্ঘটনাও ঘটে। হাইওয়ে পুলিশ তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এ পর্যন্ত ৬৬ হ্জাার থ্রি হুইলার জব্দ করেছে।

তবে এবার তুলনামূলক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় হাইওয়ে পুলিশের আওতাভুক্ত সড়কে দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি ৩০% কমেছে। আসলে আমরা যতোই এ নিয়ে বলি, বাংলাদেশে এখন ব্যাটারিচালিত ও থ্রিহুইলার যানবাহন বেশ জনপ্রিয়। মানুষজন খুব স্বল্প সময়ে স্বল্পভাড়ায় এ বাহনে যাতায়াত ও পণ্য করে থাকে। যে কারণে তারা প্রয়োজনের তাগিদে ফিডার রোড থেকে মহাসড়কে এসে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাও বাড়ে। এ অবস্থায় এখন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যাতে এ ধরনের যানবাহন মহাসড়কে না ওঠে। 
১৩ চালককে জরিমানা ॥ রাজধানীতে প্রবেশ করায়  দেশের বিভিন্ন স্থান  থেকে আসা ১৩টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর  থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর  মোহাম্মদপুর ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ট্রাফিক  তেজগাঁও বিভাগের উদ্যোগে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মো. মাশফাকুর রহমান।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ  থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানানো হয়- রাজধানীর বাইরের অটোরিক্সা ঢাকা  মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রবেশ প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় আইন বহির্ভূতভাবে ঢাকা শহরে প্রবেশ করায় ঢাকার বাইরের ১৩ জন অটোরিকশাচালককে সড়ক পরিবহন আইনে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড  দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

×