ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গাইবান্ধায় মতবিনিময়

প্রকাশিত: ১৬:০২, ৯ মার্চ ২০২১

নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গাইবান্ধায় মতবিনিময়

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে গাইবান্ধায় সাংবাদিকদের সাথে মঙ্গলবার স্থানীয় নশরতপুরস্থ গণ উন্নয়ন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ও মূল আলোচক ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নেশারুল হক। গণ উন্নয়ন কেন্দের উদ্যোগে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু জাফর সাবু, কেএম রেজাউল হক, গোবিন্দলাল দাস, সিদ্দিক আলম দয়াল, উত্তম সরকার, আফরোজা লুনা, রিকতু প্রসাদ ও জিইউকের সমন্বয়কারী মো. আফতাব হোসেন, কর্মসূচী ব্যবস্থাপক জয়া প্রসাদ প্রমুখ। এই মতবিনিময় সভায় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কতিপয় সাংবাদিক ছাড়াও প্রবাস গমন ইচ্ছুক, বিদেশ ফেরত ও প্রবাসে অবস্থানকারী ব্যক্তিদের পরিবাররা অংশ গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই মতবিনিময় সভায় বিদেশগমন ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, নিরাপদ বিদেশগমন নিশ্চিত করা, বিদেশে অবস্থানকারী ব্যক্তি ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিবর্গের নানা সমস্যা সংকট, দালালদের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া, দালালদের ডাটাবেজ তৈরী করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদেশ গমন, বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারিত বিদেশ ফেরত ব্যক্তি ও পরিবার এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নানা সমস্যা সংকটগ্রস্থ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণসহ নানা তথ্য উপস্থাপন করা হয় ও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র এই লক্ষ্য অর্জনে ২০২০ সালের ১৫ নবেম্বর থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ২৬ মাসের জন্য গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার একটি বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় গাইবান্ধা সদরের গিদারী, বোয়ালী ও কামারজানি ইউনিয়নের ২৭টি ওয়ার্ড ও ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী, গজারিয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নের ২৭টি ইউনিয়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই সমস্ত এলাকার ১ হাজার ৮০টি পরিবারের মধ্যে ১শ’ ৫০টি বিদেশ ফেরত, ১শ’ ৫০টি স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত পরিবার এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৭শ’ ৮০টি পরিবারকে সচেতনতা সৃষ্টি ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×