ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় ইটভাঁটির দায়িত্ব নিয়েও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গাইবান্ধায় ইটভাঁটির দায়িত্ব নিয়েও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের ত্রিপক্ষীয় শালিসী সভায় সমুদয় পাওনা পরিশোধের শর্তে এ.কে.এম. মমিতুল হক নয়ন ইটভাঁটির দায়িত্ব নিয়েও পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছোট ভাই ‘নূর ব্রিকস’ এর সাবেক মালিক বদরুল আলম বাবু। আজ শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শর্তানুযায়ী সুমদয় পাওনাদি পরিশোধের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বদরুল আলম বাবু উল্লেখ করেন, সাঘাটা উপজেলার শিমুল তাইড় বোনারপাড়ার ওমর হোসেন মাস্টারের পুত্র মো. আহসান কবির ও তার শরিকদের কাছ থেকে জিগজাগ ইটের ভাটা (কে.এ.এম.জে) ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর এফিডেভিটমূলে মালিকানাপ্রাপ্ত হন। পরে উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামে ‘নূর ব্রিকস’ নাম দিয়ে তা পরিচালনা শুরু করেন। কিন্তু জ্বালানি সরবরাহকারীর দেয়া নিম্নমানের কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে প্রথম বছরই তিনি বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ি। তবুও ভাটা চালু রাখার স্বার্থে এবং ভাঁটিতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা চিন্তা করে ব্যাংক ঋণসহ কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেন। দিনে দিনে তিনি ঋণের ভারে জর্জরিত হতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে আমি ভাঁটিটি পরিচালনায় ব্যর্থ হলে তার সমুদয় সরকারী-বেসরকারী দেনা পরিশোধ করার শর্তে উপজেলার বোনারপাড়া বাটি গ্রামের মো. আব্দুল আজিজ ঠিকাদার (চেম্বার সদস্য), মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম তার কাছ থেকে ভাটার মালিকানা লিখে নেন। পরে তারা সাঘাটার মোংলা পাড়ার এ.কে.এম মমিতুল হক নয়নকে ভাটার মালিকানা লিখে দেন। কিন্তু পাওনাদাররা তাদের পাওনার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করলে তিনি চেম্বার অব কমার্সের দ্বারস্থ হন। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট তিনি চেম্বার সভাপতির বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ২০ জানুয়ারি চেম্বার ভবন মিলনায়তনে মোস্তাক আহমেদ রঞ্জুর সভাপতিত্বে সালিশী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমুদয় পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মমিতুল হক নয়ন। কিন্তু সালিশী সভার পরেও পাওনাদাররা পাওনার জন্য তার উপর উপর্যুপরি চাপ দিতে থাকেন। এ প্রেক্ষিতে গত ২৩ ফেব্রয়ারি ২০২১ পুনরায় চেম্বার ভবনে সালিশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সালিশের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ করা হয় এবং আবারও তার সমুদয় সরকারী-বেসরকারী পাওনা পরিশোধের দায়িত্বভার গ্রহণ মমিতুল হক নয়ন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এএসএম মাহবুব উল ডালু, মো. বজলুল করিম রপু, শাহরিয়ার কবীর ফাহাদ, মো. কামরুল হাসান মাছুম প্রমুখ।
×