ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলেরা ভুল করে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরে থাকে ॥ ডিসি চাঁদপুর

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জেলেরা ভুল করে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরে থাকে ॥ ডিসি চাঁদপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর ॥ চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, আমাদের জেলেরা বড় ধরনের অপরাধী নয়। তারা ভুল করে নিষিদ্ধ সময়ে (অভিযানের সময়) মাছ ধরে থাকে। এ সময় জাটকা ইলিশ ধরা থেক বিরত থাকলে কি কি সুবিধা পাবে তা তাদেরকে ভালোভাবে বুঝাতে হবে। আমরা সবসময়ই জেলেদের স্বার্থে তথা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থেই কাজ করে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাটকা রক্ষা কার্যক্রমে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলেদের প্রসঙ্গে ডিসি বলেন, আগামী নবেম্বর মাসের মধ্যে নতুন করে জেলেদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সে তালিকায় যেন মৃত জেলে বা পেশা পরিবর্তন করা জেলের নাম না থাকে। যেন জেলেদের বাইরে অন্য কেউ বরাদ্দকৃত চাল না পায়। আমি সবসময়ই জেলেদের পক্ষে। তবে দূর্বত্তায়ন জেলেদের পক্ষে নেই। একটা জেলে ভুল করে অভিযানের সময় যখন নদীতে নামে তখন তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। আর একটি জেলে যখন জেল হাজতে যায়, তখন তার পুরো পরিবারই সেই শাস্তি ভোগ করে। তাই তাদের ভালোকরে বুঝিয়ে দিতে হবে। যেন অভিযানের সময় নদীতে নামলেই আইনি ব্যবস্থায় আনা হবে। অঞ্জনা খান বলেন, কোন একটা কাজ করতে প্রথমেই প্রচারণার দরকার পড়ে। সেই প্রচারণার প্রচেষ্টা আগেই করতে হবে। বড় ধরনের কার্যক্রম করতে গেলে পরিকল্পনার দরকার পড়ে, পর্যালোচনা করে আমরা সে ধরনের একটি অ্যাকশন পরিকল্পনা করবো। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সমন্বিতভাবে একহয়ে কাজ করতে হবে। অভিযান চলাকালীন সময়ে নদীপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় জিনিস। ইচ্ছা থাকতে হবে যেন কাউকে জাটকা ধরতে না দেয়া হয়। এ কার্যক্রমে আপনাদের সহায়তা অনেক দরকার। জেলেদের সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার, কোস্ট গার্ড এর প্রতিনিধি মোঃ আসাদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জলিল মাষ্টার, জেলা আওয়ামী মৎসজীবি সমিতির সভাপতি মালেক দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান প্রমূখ। এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনা করেন জেলা মৎস কর্মকর্তা আসাদুল বাকী। উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলি হরি, হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা দিপায়ন দাস, মতলব দক্ষিনের সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুশরাত শারমিনসহ সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যবৃন্দ।
×